ফরিদপুর: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় পদ্মা নদীতে প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার সময় ২২ জেলেকে আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে তাদের ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
নদী ও সমুদ্রে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার ১২তম দিন বুধবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে জাল রেখে অনেক জেলে পালিয়ে গেলেও ২২ জনকে আটক করে সাজা দেওয়া হয়।
পরে জব্দ করা মাছ স্থানীয় পূব শ্যামপুর মাদরাসা ও দশহাজার মাদরাসায় বিতরণ করা হয় এবং জাল নদীর পাড়ে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে গত ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নদীতে ও সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ২২ দিন ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় যাতে কোনো অসাধু জেলে নদীতে মাছ ধরতে না পারে সে জন্য আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে। ইলিশ সংরক্ষণে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে গত ৬ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা আরেক অভিযানে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ৫(১) ধারায় ৩ জেলেকে এক হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়াও ১৩ অক্টোবর একই অপরাধে আরও ৭ জেলেকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস করেছেন তিনি।