ঢাকা: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর দেশের ৯টি সাধারণ ও কারিগরি এবং মাদরাসা বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষর্থীর মধ্যে ছাত্র অংশ নেয় ৬ লাখ ১১ হাজার ৪৪৭ জন, উত্তীর্ণ ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন, জিপিএ-৫ ৩২ হাজার ৫৩ জন, ছাত্রদের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। ছাত্রী অংশ নেয় ৬ লাখ ২৪ হাজার ২১৫ জন। উত্তীর্ণ ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন, জিপিএ-৫ ৬৯ হাজার ৯৭ জন, ছাত্রীদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
এবার কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সাড়ে ১১টায় সার্বিক বিষয়ে ব্রিফিং করবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার।
শিক্ষার্থীরা সবাই নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবেন। একইসঙ্গে শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটেও ফল পাওয়া যাবে অনলাইনে। গত ২৬ জুন শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৮ জন, যা গত বছরের তুলনায় ৭২ হাজার ৮৮৩ জন কম।
এসব পরীক্ষার্থী দেশের ৪ হাজার ৮০৮টি প্রতিষ্ঠানের অধীনে ১ হাজার ৬০৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ১০২ জন, যা গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ৯৭৪ জন কম। ২ হাজার ৬৮২টি মাদ্রাসার এসব শিক্ষার্থী ৪৫৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়। অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন, যা গত বছরের তুলনায় ৭ হাজার ২৫ জন কম।
এক হাজার ৮২৪টি প্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থী ৭৩৩টি কেন্দ্রে অংশ নেয়। এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১৯ আগস্ট, আর ২১ থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। রেওয়াজ অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।