ঢাকা: গোপালগঞ্জ থেকে এসে শুধু ছিনতাই করে আবার ফিরে যেত ছিনতাইকারীরা। তারা মূলত ব্যাংকের গ্রাহকদের টার্গেট করে ছিনতাই করত। ব্যাংক থেকে কেউ টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে বের হলে সেটি ছিনতাই করে পালিয়ে গোপালগঞ্জ চলে যেত। এভাবে তারা গত ৭ মাসে ৫৯ লাখ টাকা ছিনতাই করেছ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন উত্তরা জোনের ডিসি মুহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গ্রেফতার ছিনতাইকারী সাইফুল ইসলাম শাওন (৩৯) ও মো. ফারুক হোসেন (৩৮) এর বাড়ি গোপালগঞ্জে। তারা শুধু ছিনতাইয়ের জন্য ঢাকা আসত। কাজ শেষে আবার চলে যেত। অবশেষে গত ১৪ অক্টোবর দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ৭ নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণি রোডে ঢাকা আই-কেয়ার হাসপাতালের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
ডিসি মুহিদুল বলেন, ছিনতাইকারী এই চক্রটি বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান, এটিএম বুথ এবং অর্থলগ্নি সংস্থার সামনে অবস্থান করে লোকজনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করত। লোকজন নগদ টাকা তুলে চলে যাওয়ার সময় তাদের অনুসরণ করে সুবিধাজনক স্থানে মোটরসাইকেল যোগে গতিরোধ করে বা ছোঁ মেরে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেত।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের আরেক সদস্য মো. জিল্লুর রহমান খানের সঙ্গে মিলে তারা একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেছে। ছিনতাইকৃত অর্থ তিনজন ভাগ করে নিত। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার সাইফুল ইসলাম শাওনের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে উত্তরা এলাকায় এ ধরনের অপরাধ করে আসছিল। গ্রেফতার সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০টি ছিনতাই মামলা রয়েছে এবং ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২টি ছিনতাই মামলা রয়েছে।