ঢাকা: মিরপুরের রূপনগরে পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনের আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস থেকে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে ফায়ার সার্ভিস থেকে এ ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর।
কমিটির সভাপতি হলেন— ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপা. ও মেইন.) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। এ ছাড়া, সদস্যরা হলেন- ড. মো. ইয়াছির আরাফাত খান (অধ্যাপক, রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়), অতীশ চাকমা (উপ সহকারী পরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স), মো. সাইদুল আলম চৌধুরী (পিও কাম অ্যাডজুটেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স), সোহরাব হোসেন (ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স), মো. ফসির উদ্দিন (সিনিয়র স্টেশন অফিসার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন) এবং সদস্য সচিব মো. ছালেহ উদ্দিন (উপ পরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা বিভাগ)।
বুধবার দুপরে মিরপুরের রূপনগরে আনোয়ার গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ২৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসার ঘোষণা দেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সেসময় তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু এটা একটা কেমিক্যাল গোডাউন এবং এখানে প্রায় ছয় সাত ধরনের বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে। যেটার মাত্রা এখনো আমরা যাচাই বাছাই করতে পারিনি। তবে পুরো গোডাউন ভরা যেই বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য এটা আমরা ধাপে ধাপে প্রোগ্রেসিভ ওয়েতে ড্রেন আউট করছি। দ্যাট মিন্স পানি দিয়ে ফায়ার ফ্লোট করে এটাকে আমরা ড্রেন আউট করছি ধাপে ধাপে। এটা সময় সাপেক্ষ একটি বিষয়। আমরা সিস্টেমেটিক কাজ করছি। আমরা টেকনোলজি এপ্লাই করছি, ড্রোন দিয়ে দেখছি।’
সার্চ অপারেশন ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আলম ট্রেডার্সের ভবনটা কিন্তু অনেকটা আগেই ড্যামেজ হয়েছে। আমরা যে ড্রোন ভিউটা পেয়েছি এটা অনেকাংশে ড্যামেজ হয়েছে। যেহেতু এটা লম্বা সময় ধরে একটা তাপমাত্রা ক্রিয়েট হয়েছে সেই তাপমাত্রার কারণে এই ভবনের কনস্ট্রাকশন যে পিলারগুলো আমরা দেখলাম সেটা অনেক অংশ ড্যামেজ। তাই এখানে যেকোনো সার্চ অপারেশন করাটা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকিটা এড়ানোর জন্য আমরা প্রটেকশন নিয়ে ধাপে ধাপে কাজ করছি। সার্চ অপারেশন চালানোর জন্য আরো সময় লাগবে এবং আমাদের হয়তো আরও ৩৬ থেকে ৭২ ঘণ্টাও আমাদের অপেক্ষা করা লাগতে পারে।’
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে রুপনগরের এই কেমিক্যাল গোডাউন ও গার্মেন্টসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ১২টির বেশি ইউনিট। ভবনটিতে রাসায়নিক থাকায় এবং প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে ভেতরে প্রবেশ করে উদ্ধার কাজ চালাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়।
এখন পর্যন্ত আগুনে পোড়া ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে তাদের দেহ ছাই হয়ে গেছে। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।