ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুনে পুড়ে যাওয়া কেমিক্যাল গুদামের ভেতরে বিষাক্ত হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। আর ওই গ্যাসের মাত্রা ছিল ১৪৯ পিপিএম, যা কোথাও ১০০ পিপিএমের বেশি থাকলে মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে অচেতন হয়ে মারা যেতে পারে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের দলনেতা সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন, মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামানসহ ডিসপোজাল ইউনিটের চার সদস্য গ্যাস ডিটেকটর ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে গুদামের ভেতরে যান।
মাহমুদুজ্জামান বলেন, ‘গ্যাস ডিটেকটর দিয়ে গুদামের বিষাক্ত গ্যাসের মাত্রা নেওয়ার চেষ্টা করেছি। বৃহস্পতিবার আমরা হাইড্রোজেন সালফাইড, যেটা টক্সিক একটা গ্যাস এবং মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর, সেটার ফাইন্ডিংস পেয়েছিলাম ২০ পিপিএমের ওপরে, এটাও ডেঞ্জারাস। আমি ভেতরে পেয়েছি ১৪৯ পিপিএম। ১০০ পিপিএমের ওপরেই যেটা তাৎক্ষণিকভাবে জীবনের জন্য বিপজ্জনক।’
তিনি বলেন, ‘হাইড্রোজেন সালফাইড ১০০ পিপিএম থাকলেই একজন মানুষ তাৎক্ষণিক অচেতন হয়ে মারা যাবেন, যদি যথাযথ নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়া ভেতরে যান। এ ছাড়া, আশপাশে প্রচুর বিষাক্ত উপাদান বাতাসে রয়েছে। আশপাশে অন্তত ১৫০-৩০০ মিটার এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া ভালো। আর যেদিকে বাতাস যাবে, সেদিকে অন্তত দেড় কিলোমিটার মানুষ সরিয়ে নিতে পারলে ভালো।‘
তিনি আরও বলেন, ‘গুদামের বাইরে হাইড্রোজেন সালফাইডের মাত্রা ৭০-৮০ পিপিএমের মতো। গতকাল কার্বন মনো-অক্সাইডের উপস্থিতি আমরা পাইনি। কিন্তু আজ গুদামে ৩ পিপিএম পেয়েছি। উৎসুক মানুষ ও অনেক নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা ভিড় করছেন। তবে মাথায় রাখতে হবে, এটা সাধারণ কোনো আগুন নয়, কেমিক্যালের আগুন। এর আশপাশে যাওয়া যাবে না। কাছে গেলেই এটা কোনো না কোনোভাবে বিপজ্জনক হতে পারে।’