পটুয়াখালী: নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অনুসারীসহ একাধিক কুচক্রীমহলের ইন্ধনে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই তার বিরুদ্ধে এক নারীকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর রহমান প্যাদা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মো. মজিবর রহমান প্যাদার নিকট আত্মীয় হাবলু মৃধা, হিরন মৃধা, জনি জামাল, সোহেল হাওলাদার।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কলাপাড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. মজিবর রহমান প্যাদা বলেন, ‘গত মঙ্গলবার মোসা: মরিয়ম বেগম সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমিসহ আমার পরিবার এবং আমার দল বিএনপির ভাবমুর্তি, রাজনৈতিক খ্যাতি ও যশ ক্ষুন্ন করেছে।
মজিবর রহমান প্যাদার বলেন, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, মরিয়ম সঙ্গে তার বিয়ে হয়নি। এর কোনো প্রমাণ মরিয়ম দিতে পারবে না। মূলত মরিয়মের পিতা মোসলেম আলী দফাদারের কাছ থেকে ২০২১ সালে রেফ কাগজের মাধ্যমে ১২ শতাংশ জমি ৬ লাখ টাকায় ক্রয় করেন তিনি। ক্রয়কৃত জমিতে বসতঘর নির্মাণ এবং গাছ রোপন করা হয়। ওই জমি সরকার অধিগ্রহণ করার কারণে মোসলেম তাকে রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। ওই জমির ক্ষতিপূরনের টাকা মোসলেম তার ছেলে রহমান এবং মেয়ে মরিয়ম বেগম নামের ব্যাংক একাউন্ট থেকে তুলে তাকে ৪৭ লাখ টাকা দেয়। তবে মজিবরের ওই জমিতে নির্মাণকৃত ঘরের পরিবর্তে তৎকালীন সরকার ধূলাসার ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্পের ৬০ লাখ টাকা এবং ১০ টাকা মূল্যের দুটি পূর্ণবাসন ঘর প্রদান করে।
কিন্তু মোসলেম ওই ঘর দুটি তার ছেলে রহমান ও মেয়ের মরিয়ম নামে অন্তর্ভুক্ত করে। বিএনপি নেতা মজিবর মোসলেমের কাছে ওই পূর্ণবাসন ঘর বাবদ টাকা চাইলে না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে। টাকা বুঝে পেতে সে চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মূলত একটি কুচক্রিমহলের যোগসাজসে এই টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ এনছেন মরিয়ম। তাই তিনি ন্যায়বিচারসহ পুর্নবাসন ঘরের ৬০ লাখ, জমির ৫ লাখ ও জমিতে নির্মান করা ঘরের দাম বাবদ ১০ লাখ টাকা ফেরত চেয়েছেন।
মজিবর আরও বলেন, মরিয়মের পিতা মোসলেম আলী দফাদার ও ভাই রহমান আমার মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তাদের মেয়ে মরিয়মকে বাদী বানিয়ে পটুয়াখালী জেলা জজ কোর্টে ৯ (খ) ধারায় মিথ্যা লিখিত অভিযোগ করে কোনো কাগজপত্র প্রমান ছাড়াই। তারা আমার নির্মিত ঘর ও জমি তাদের নিজের বলে দাবি করে আমার নামে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে মোসলেম আলী দফাদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।