Monday 20 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সন্ত্রাস দিয়ে জনসমর্থন ও জনভিত্তিকে দমন করা যাবে না: এ কে আজাদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২০ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৪৯ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৫০

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন এ কে আজাদ। ছবি: সারাবাংলা

ফরিদপুর: চাঁদাবাজি ও পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালুকাটার বিরোধিতা করার কারণেই পরমানন্দপুরে হামলার ঘটনা ঘটেছে দাবি করে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেছেন, সন্ত্রাস দিয়ে কখনও জনসমর্থন ও জনভিত্তিকে দমন করা যায় না। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই এ হামলা চালানো হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে জেলার সদর উপজেলার কৈজুরী এলাকায় গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কে আজাদ এসব কথা বলেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক ও ফরিদপুর-৩ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী চৌধুরী নায়াব ইউসুফের অনুসারীরা রোববার বিকেলে সদর উপজেলার পরমানন্দপুরে গণসংযোগকালে যুবদলের ব্যানারে এ কে আজাদের গাড়ি বহরে হামলা করে দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির নেতাকর্মীদের এমন হামলা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করেই ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। এবারও জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করা হবে।

এ কে আজাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে বিএনপির করা অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও স্বতন্ত্র ছিলাম, বর্তমানেও স্বতন্ত্র হিসাবে কাজ করছি, মানুষের সেবা করে যাচ্ছি।’ এমন পরিবেশ হলে সুষ্ঠু ভোটের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে সোমবার দুপুররে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ তার ফেসবুক পেজে রোববার একে আজাদের গাড়ি বহরে হামলার বিষয়ে বলেন, ‘আমি বিভেদের নয়, শান্তির রাজনীতি করি। আমার মনে হয় শান্তিপ্রিয় ফরিদপুরে যে অশান্তি করার পরিকল্পনা চলছে, সেটা নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগেরই মহাপরিকল্পনার অংশ।’

তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল পরমানন্দপুর এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যস্ত ছিল। ঠিক ওই সময় পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন এ কে আজাদ কিছু চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসী নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। সেটা দেখে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ভীত হয়ে পড়ার পাশাপাশি কিছুটা উত্তেজিতও হন। সেই ঘটনার কিছু ভিডিও সোসাল মিডিয়াসহ বিভিন্নভাবে সবাই দেখেছি। সেখানে কোনো হামলা বা কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফ্যাসিস্ট সরকারের চর্চা হিসাবেই এ কে আজাদ নির্বাচনে প্রতিপক্ষ হওয়ার কারণে তার নিজেস্ব গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন ‘ তার সুনাম নষ্ট করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

কয়েকদিন আগে কবিরপুর চরে নদী ভাঙন কবলিত মানুষের মাঝে তার ত্রান বিতরণ অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ভাঙচুর করে দুর্বৃত্ততারা।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর