সিরাজগঞ্জ: জেলার সলঙ্গায় নবজাতক (শিশু) চুরির মামলায় আলপনা খাতুন (২৭) নামে এক নারীকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আলপনা খাতুন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চরদোগাছি গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী।
সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, শিশু চুরি মামলায় আলপনা খাতুনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ গ্রামের মাজেদ আলীর স্ত্রী সবিতা খাতুন সন্তান প্রসবে ব্যাথা অনুভূত হওয়ায় সিরাজগঞ্জ রোড গোলচক্কর এলাকায় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে সিজারের মাধ্যমে সবিতা খাতুন একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। বিকেলে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে চুরি করে নিয়ে যায় আলপনা খাতুন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।
পরে সলঙ্গা থানা পুলিশ শিশুটি উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। রাতে কামারখন্দ উপজেলার আলোকদিয়ার গ্রামের সোলাইমান হোসেনের বাড়ি থেকে শিশুটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় আলপনা খাতুন, ছায়রন বেওয়া, মিনা খাতুন, মায়া খাতুন ও তার স্বামী রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা মাজেদ আলী বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আজ আলপনা খাতুনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।