ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য জোবায়েদ হোসাইন হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিশেষ অভিযানে আমরা এখন পর্যন্ত তিনজন আসামিকে আটক করেছি। তবে এখনই তাদের নাম পরিচয় আমরা প্রকাশ করবো না তদন্তের স্বার্থে। আগামীকাল মঙ্গলবার (২০ অক্টোবার) সকালে আমরা বিস্তারিত বিফ্রিং করবো। এছাড়া আপাতত আর কিছুই বলা যাবে না।
এদিন, বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জোবায়েদ হোসাইনকে তার কাছে প্রাইভেট পড়ুয়া ছাত্রী বর্ষা পছন্দ করত। এই কারণে বর্ষার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় জোবায়েদকে হত্যা করে প্রেমিক মাহির রহমান। বর্ষার সাবেক প্রেমিক মাহির রহমানের সঙ্গে ক্লাস ফোর থেকে ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। দুজনই ছোটবেলা থেকে পাশাপাশি বাড়িতে বড় হয়েছেন। তবে কিছুদিন আগে তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয় এবং সম্পর্ক ভেঙে যায়। তবে বর্ষার সঙ্গে জোবায়েদের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না।
এদিকে, এ ঘটনায় জোবায়েদের ছাত্রী বর্ষাকে রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে তার নিজ বাসা রাজধানীর বংশালে নূর বক্স রোডে রৌশান ভিলা থেকে আটক করে পুলিশ। বর্ষা ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের ছাত্রী এবং তার প্রেমিক মাহির রাজধানীর বোরহানউদ্দিন কলেজে উন্মুক্ততে পড়াশোনা করে।
নিহত জোবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।
এর আগে, রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকার নূরবক্স রোডের একটি ভবনে টিউশনির জন্য গেলে বাসার নিচেই ছুরিকাঘাতের শিকার হন জুবায়েদ। আহত অবস্থায় সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করলে তিনি তিন তলায় পড়ে যান এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে জোবায়েদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।