Tuesday 21 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সভাপতির দুর্নীতির অভিযোগে মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২১ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৪৪

মানববন্ধনে অভিভাবক, এলাকাবাসী এবং শিক্ষকসহ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। ছবি: সারাবাংলা

নওগাঁ: নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর সিনিয়র আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মামুনুর রশিদ ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

এসব অপকর্মের প্রতিবাদে এবং অধ্যক্ষ ও সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মোজাম্মেল হক মোজার সভাপতিত্বে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন অভিভাবক সদস্য মো. হারুনুর রশিদ, আবু বকর সিদ্দিক, খোরশেদ আলম, মামুনুর রশিদ প্রামাণিক, আলী আকবর, ইউপি সদস্য আবু হাশেম, মোসলেম উদ্দিন শাহ, আহমেদ ফায়সাল আহমেদ ও আব্দুর রহমান প্রমুখ। মানববন্ধনে অভিভাবক, এলাকাবাসী এবং শিক্ষকসহ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

মানবন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ ও সভাপতি মিলে কর্মচারী নিয়োগের নামে ৫ প্রার্থীর কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ গ্রহণ করেছেন। তবে অর্থ নেওয়ার পরও অনেককেই নিয়োগ না দিয়ে নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে পদে বসানোর চেষ্টা চলছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, ফরম ফিলাপের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় এবং কোনো সভা ছাড়াই গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা জানান, একসময় কালিকাপুর সিনিয়র আলীম মাদ্রাসা ছিল মান্দা উপজেলার একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ ও সভাপতির স্বেচ্ছাচারী আচরণ, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা আতঙ্কের মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন, শিক্ষার্থীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মানববন্ধনে বক্তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের প্রতি অবিলম্বে তদন্ত করে অধ্যক্ষ ও সভাপতিকে অপসারণের দাবি জানান। একই সঙ্গে মাদ্রাসায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তারা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ড. মামুনুর রশিদের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি। সভাপতি মোহাম্মদ মামুনুর রশিদও কল রিসিভ করেননি।

অভিভাবক ও এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা ও মাদ্রাসায় স্বচ্ছ প্রশাসনিক পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর