Thursday 23 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শীতের আগমনী বার্তা
অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত চলনবিল

রানা আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৩ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:১১ | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১০:০৯

অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত চলনবিল। ছবি: সারাবাংলা

সিরাজগঞ্জ: শীতের পরশ এখনো পুরোপুরি না লাগলেও সিরাজগঞ্জের চলনবিল যেন আগেভাগেই পেয়েছে শীতের আগমনী বার্তা। বিলের জলাশয়, খাল, নদী আর পুকুরজুড়ে এখন অতিথি পাখিদের কিচিরমিচিরে মুখর প্রকৃতি। বালিহাঁস, নীলশির, শামুকখোল, চখাচখি, পানকৌড়ি, মাছরাঙাসহ নানা প্রজাতির পাখির আগমনে রঙিন হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের এই বিশাল জলাভূমি অঞ্চল।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর শীত এলেই তাড়াশ উপজেলার বস্তুল, উলিপুর, পঁওতা, দিঘীসগুনা, কুন্দইলসহ প্রায় ২৫টি গ্রামে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসে। তবে এবছর শীতের আগেই তাদের আগমন ঘটেছে, যা স্থানীয়দেরও বিস্মিত করেছে। জলবায়ুর বৈশ্বিক পরিবর্তন, নিরাপদ আশ্রয় ও খাদ্যের প্রাচুর্যের কারণে চলনবিল এখন অতিথি পাখিদের অন্যতম প্রিয় আবাসস্থল।

বিজ্ঞাপন

একসময় এই চলনবিল ছিল পাখি শিকারিদের স্বর্গরাজ্য। শিকারিরা ফাঁদ পেতে, গুলি করে বা বিষ মিশিয়ে শিকার করত শত শত পাখি। তবে এখন সেই চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। মানুষে মানুষে সচেতনতা তৈরি হয়েছে, স্থানীয় তরুণরাও এখন পাখির বন্ধু হয়ে উঠছে।

তাড়াশের উলিপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক বাবুল আকতার বলেন, ‘গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর চলনবিলে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার বৈচিত্র্যময় পাখির আনাগোনা বেড়ে গেছে। খাদ্যের সহজলভ্যতাসহ নানা কারণে শীত আসার আগেই চলনবিলে পাখির সংখ্যা বাড়ছে। যেটা কয়েক বছর আগে দেখা যায়নি। বিস্তীর্ণ চলনবিলের নদী, খালবিল, জলাশয়, ধানের ক্ষেত, পুকুর ও ডোবায় পাখির ঝাঁকের হাঁকডাক, ওড়াউড়ির দৃশ্যসহ কিচিরমিচির শব্দে এ অঞ্চলের মানুষের মনোরম পরিবেশ অন্য রূপ নিয়েছে।’

চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির তাড়াশ উপজেলা শাখার আহব্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, ‘পাখি শিকার করা দণ্ডনীয় যে অপরাধ, তা নিয়ে শিকারি বা ক্রেতাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র ভীতি নাই। চলনবিলের পাখি বাঁচাতে আইন প্রয়োগের পাশাপশি লোকজনের মধ্যে ব্যাপক হারে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে। তাহলে এই অঞ্চল থেকে পাখি শিকার বন্ধ হবে ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে।’
তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের আমেজ শুরু হওয়ায় বিভিন্ন জাতের পাখি আসছে। এই পাখিগুলো রাতের আধারে অসাধু কিছু শিকারি বেশিরভাগ শিকার করছে। এই বিশাল চলনবিলের মধ্যে তাদের খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে অসাধু পাখি শিকারিদের খোঁজ-খবর নেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, ‘মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে সারাদেশেই অতিথি পাখির আগমন ঘটবে। একই সঙ্গে পাখি শিকারিদের অবস্থান জানা গেলে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করা হবে। প্রয়োজনে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পাখি শিকারিদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

বিজ্ঞাপন

নিয়োগ দিচ্ছে বিক্রয় ডটকম
২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৪৫

শাবিপ্রবিতে কাজের সুযোগ
২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৩৯

আরো

সম্পর্কিত খবর