ঢাকা: গুম-খুন ও জুলাই আন্দোলনে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করানো হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এরপর সাড়ে ৭টায় একে একে সকলকে ট্রাইব্যুনালে নেয় পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইবুনালে নেওয়ার তথ্য কারাগার সূত্র জানিয়েছে। কারাগার সূত্র আরও জানায়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সবুজ রংয়ের একটি প্রিজন ভ্যানে করে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা-নেওয়া করা হবে।
অপরদিকে জানা গেছে, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে নিতে বাংলাদেশ জেল লেখা একটি গাড়ি রাত ১টার দিকে ক্যান্টনমেন্টে প্রবেশ করে। ধারণা করা হচ্ছে, মিডিয়া এড়াতে এদিন ভোরে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে ও জুলাই আন্দোলনের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামির আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল সামরিক বাহিনীর যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তার মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে ও একজন ‘অবৈধভাবে’ অনুপস্থিত বলে জানিয়েছিল সেনা সদর।
ওইদিন এক সংবাদ সস্মেলনে ‘কেউ চার্জশিটভুক্ত আসামি হলেই সে অপরাধী হিসেবে প্রমাণিত নয়’ বলে দাবি করা হয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। এর পরদিন ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে ওইদিনই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তাদের ‘অবশ্যই আদালতে আনতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আর সেনাসদরের সংবাদ সম্মেলনে সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তারা তা পায়নি বলে জানিয়েছিল। তবে তার আগেই চাকরিরত ওই কর্মকর্তাদের হেফাজতে নেওয়ার পদক্ষেপ নেয় বলে দাবি তাদের।