রংপুর: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উলটো লেনে ঢুকে যাওয়া একটি যাত্রীবাসের চাপায় অটোরিকশাচালক মোতালেব হোসেন (৩৫) নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আরেকজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর বাসচালক পালিয়ে যান এবং পুলিশ বাসসহ অটোরিকশা জব্দ করেছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টায় দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোতালেব হোসেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ময়মনসিংহ থেকে সৈয়দপুরগামী ‘ভাই ভাই মুরাদ ক্লাসিক’ বাসটি ইকরচালী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে হঠাৎ উলটো লেনে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে এসে অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়ে বাসটি সড়কের পাশের দোকানে ঠেকে পিলারে আটকে যায়। ঘটনাস্থলে মোতালেব নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ভাতের দোকানদার আতিয়ার রহমান বলেন, “আমার দোকানের সামনেই ঘটনা ঘটে। সকালে দোকান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, হঠাৎ বাসটা বাঁ থেকে ডান লেনে হাইস্পিডে ঢুকে অটোরিকশাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে একজন মারা যান।”
পাশের দোকানের মালিক জিয়াউর প্রামাণিক বলেন, “আজকের মতো না, প্রায়ই গাড়ি ফাঁকা দেখে উলটো পথ দিয়ে ওভারটেক করে এই স্ট্যান্ডে আসে। আগেও এমন দুর্ঘটনায় অনেকের প্রাণ গেছে, কিন্তু বন্ধ করার উপায় নেই।”
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইজিবাইকচালক মোতালেব হোসেনের লাশ উদ্ধার করি। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশা ও মুরাদ পরিবহনের বাস জব্দ করা হয়েছে। বাসটি সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। বাসচালক পালিয়ে গেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, রংপুরের তারাগঞ্জ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা অহরহ ঘটছে। গত মাসে এই মহাসড়কে দুই যাত্রীবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছিলেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, অতিরিক্ত গতি এবং উলটো লেন ব্যবহারের কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকায় যানজট এবং পুলিশের অপর্যাপ্ত উপস্থিতি দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।