Wednesday 22 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেনা সদস্যদের দিয়ে যেন আর ভাড়াটে খুনির কাজ করা না হয়: ব্যারিস্টার আরমান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২২ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৪৩ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৫০

ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: গুমের শিকার ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান বলেছেন, একজন ভুক্তভোগী হিসেবে আমার আশাবাদ যে দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের দিয়ে যেন ভাড়াটে খুনির কাজ যেন আর করা না হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের রক্ষক সেনাবাহিনীকে আর কোনোদিন যেন জনগণের মুখোমুখি করা না হয়। আমাদের সার্বভৌমত্বের রক্ষক সেনাবাহিনী যেন আর কোনোদিন কোনো শক্তির পুতুল না হয়ে যায়, সেটা এই বিচারের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

বুধবার (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সেনানিবাসের ভেতরে ঘোষিত সাবজেলে (উপ-কারাগার) জেলকোড পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘সেনানিবাসের ভেতরে যে সাবজেল রয়েছে সেখানে জেল কোড ফলো হচ্ছে কিনা, যাদের রাখা হয়েছে তারা কি কোনোভাবে সার্ভিং সেনা সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কিনা, এটি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। যদি না হয় আমরা যারা ভুক্তভোগী ও সাক্ষী আছি, আমাদের জীবনের হুমকি আশঙ্কা করছি।’

ব্যারিস্টার আরমান আরও বলেন, ‘আসামিরা যদি গ্রেফতার অবস্থায় ক্যান্টনমেন্টে (সেনানিবাস) অবস্থান করে কোনোভাবে বিচারকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন, সেটা খুব আতঙ্কজনক বিষয় হবে। তাই জেলকোড পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ হচ্ছে কিনা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া জনসম্মুখে প্রমাণ করতে হবে যে এখানে কোনোরকম সম্পৃক্ততা নেই এবং তারা কোনোভাবে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে অবস্থান করে এই বিচারকে প্রভাবিত করতে পারবেন না।’

যখন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা দেশ ত্যাগ করেছেন, তখন তাদের পাসপোর্ট বাতিল ও ওয়ারেন্ট ছিল। এ অবস্থায় ক্যান্টনমেন্টের ভেতর থেকে কিভাবে তারা দেশত্যাগ করল; এ ব্যাপারে একটি উচ্চপদস্থ কমিশন গঠন করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা ওই সময় কর্মরত ছিলেন তাদের হাতে কী আমাদের সার্বভৌমত্ব নিরাপদে রয়েছে কিনা? তাই একজন ভুক্তভোগী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি যে যারা দায়িত্বরত ছিল বা যাদের তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় দেশত্যাগ করেছে তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। কেননা যাদের বিচার হচ্ছে এবং যারা দেশত্যাগ করেছে তারা যেন কোনোভাবে এই বিচারকে প্রভাবিত করতে না পারে।’

উল্লেখ্য, বুধবার সকালে গুম-খুনসহ জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলার ওপর শুনানি হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পরে আদালতে হাজির হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর