ফরিদপুর : ফরিদপুরে এক বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের দায়ে ইসমাইল শেখ (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত। এসময় জরিমানার অর্থ জেলা কালেক্টরকে আদায় করে ভিকটিমের পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
বৃহস্পতিবার ( ২৩ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে কারাগারে পাঠানো হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ইসমাইল শেখ ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চতর গ্রামের আমিন শেখের ছেলে।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌসুলী (পিপি) গোলাম রব্বানী খান ভূঁইয়া জানান, এটি ফরিদপুরের একটি চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলা। ভিকটিম প্রতিবন্ধী ছিলেন। এলাকা দিয়ে পাগলের মতো ঘুরে বেড়াতেন। ২০২২ সালের আগষ্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি কোনো এক সময়ে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন।
তিনি বলেন, যেহেতু সে বাক ও বুদ্ধীপ্রতিবন্ধী ছিলেন তাই তিনি গর্ভবতী হলে বিষয়টি পরিবার টের পান। এরপর পরিবারের লোক এই ঘটনায় জড়িতকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করলে সন্দেহভাজন হিসেবে ইসমাইলের নাম উঠে আসে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী শালিস-বৈঠকে ইসমাইল বিষয়টি শিকার করে। তবে ওই সময় শালিস থেকে পালিয়ে যান ইসমাইল।
২০২৩ সালের ৬ জুন ধর্ষনের শিকার ওই প্রতিবন্ধী নারী মৃত সন্তানের জন্ম দেন। পুলিশ স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে মৃত নবজাতক শিশুকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
২০২৩ সালের ৯ জুন এই ঘটনায় ইসমাইলকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণ মামলা করে ওই প্রতিবন্ধী নারীর মা। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন।