ঢাকা: বেসরকারি সংস্থা ‘দ্যা স্কলারস ফোরাম ঢাকা’র বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নেন স্কুল-মাদরাসার তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণির ৪৭২০ জন শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মোট ৪টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রগুলো হলো- তা’মীরুল মিল্লাত মহিলা কামিল মাদরাসা, এ কে স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা ও বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
এতে প্রায় ৩৫০ জন কক্ষ পরিদর্শক ও ৬০০ জনের বেশি স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও সার্বক্ষণিক তদারকিতে ছিলেন স্ব-স্ব কেন্দ্র পরিচালক, সহকারী কেন্দ্র-পরিচালকসহ বিভাগীয় পরিচালকেরা।
আমন্ত্রিত মেহমান হিসেবে প্রত্যেক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন দ্যা স্কলারস ফোরাম ঢাকার চেয়ারম্যান ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মোসাদ্দেক হোসেন এবং বর্তমান পরিচালক হেলাল উদ্দিন রুবেল। আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিচালক- আলাউদ্দিন আবির, অ্যাড. রিয়াজ উদ্দিন, অ্যাড. শাফিউল আলম, আহমেদ হোসেন রাসেল, আব্দুল কাইয়ুম মজুমদার, বর্তমান সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন রাসেল, নির্বাহী পরিচালক ইউসুফ সাবেরসহ ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা।
সরেজমিনে এ কে স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এখানে ১৪৬০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। কেন্দ্র পরিচালক আতিকুল ইসলাম জানান, বিভাগীয় পরিচালক, কক্ষ পরিদর্শক, সহকারী কক্ষ পরিদর্শক, স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় সকাল ৯টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কোনো সমস্যা পরিলক্ষিত হয়নি। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ফোরামের পরিচালক হেলাল উদ্দিন রুবেল বলেন, ‘রাজধানীর প্রায় আড়াই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্র-ছাত্রী এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। অভিভাবক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সবার সহযোগিতায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।’
বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন তার সংক্ষিপ্ত কথায় বিগত দিনে শিক্ষা ক্ষেত্রে স্কলারসের অবদান এবং ধারাবাহিক সাফলতার কথা তুলে ধরেন। জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি নৈতিকতা সমৃদ্ধ জাতি গঠনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। আগামীদিনে সবাইকে স্কলারসের সঙ্গে থাকার জন্য আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ‘দ্যা স্কলারস ফোরাম ঢাকা’ ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ঢাকা শহরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ও সামাজিক কার্যক্রম সুনামের সঙ্গে পরিচালনা করে আসছে। পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া সংস্থাটির গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অসংখ্য শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।