Friday 24 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইসকন নিষিদ্ধের দাবি ইন্তিফাদা বাংলাদেশের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:২৪ | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৫৮

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: সারবাংলা

ঢাকা: ইসকন নিষিদ্ধ ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এখানে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তারা একটি মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে যায়।

বিক্ষোভ সমাবেশে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের সদস্য আহমেদ রফিক বলেন, ‘মুসলিম নারীকে ধর্ষণের কথা গর্ব করে প্রকাশ করা হয়। খতিব ইসকনের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে অপহরণ করে শিকলে বেঁধে মেরে ফেলে রাখা হয়। এ রকম ঘটনা একের পর এক ঘটছে। কিন্তু আমরা বিপরীতে দেখতে পাচ্ছি রাষ্ট্র চুপ করে তামাশা দেখছে। প্রশাসন অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আয়োজন করছে। সুশীল সমাজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ দায় নিতে চায় না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘পশ্চিমারা কী বলবে, আমেরিকা কী বলবে, বামপন্থী কী বলবে, দূতাবাস থেকে কী নির্দেশনা আসবে এসব নিয়ে তারা চিন্তা করে। এসব নিয়ে চিন্তা করতে করতে আল্লাহ কী বলবেন, আল্লাহ কিভাবে পাকড়াও করবেন, এটা নিয়ে চিন্তা করার সময় তাদের নেই। কেউ কেউ আবার ইসলামী রাজনীতির কথা বলেন। কিন্তু যখন কোরআন অবমাননা হয় যখন রসূলের অবমাননা হয় যখন মুসলিম নারীদের ইজ্জতকে ধর্ষণের নিশানা বানানো হয় তখন তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। শেষে এসে দায়সাড়া কিছু একটা বলে তারা গা বাঁচানোর চেষ্টা করে। বারবার এরা আমাদের সম্প্রীতির কথা বলে, আমাদেরকে মন্দির পাহারা দিতে বলে। কিন্তু মুসলিম নারীর ইজ্জত লুণ্ঠনের সময় এদের মুখে কবরের নীরবতা। আমরা আর এগুলো মানবো না, চুপ থাকবো না।’

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো-

  • গাজীপুর ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ বিভাগকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভিকটিমের প্রতি দোষারোপ বন্ধ করে পুলিশ ও প্রশাসনের আচরণের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
  • টঙ্গী এলাকার অপহরণ-হত্যা ও এ বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলকভাবে দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
  • রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষ ও ইসলামবিদ্বেষী আচরণ রোধে একটি জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
  •  মুসলিম নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও রক্ষা ব্যবস্থাসহ আইনি গঠন করতে হবে।
  • ইসলামবিদ্বেষ-বিরোধী কর্মকাণ্ডে অগ্রণী যে ইমাম, সক্রিয় নাগরিক ও সংগঠনগুলো লড়াই করছে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর