Saturday 25 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে তালা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:১৪

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলাচ্ছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। ছবি: সারাবাংলা

কুষ্টিয়া: নিয়োগ বাণিজ্য, প্রশ্ন ফাঁস, নগ্ন ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

ছাত্র-জনতার অভিযোগ শুক্রবার ছিল কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা। কিন্তু, পরীক্ষার আগের দিন মধ্যরাতে কুষ্টিয়া শহরের একটি ছাত্রাবাসে ৩০ জন পরীক্ষার্থীকে প্রশ্ন দেওয়া এবং তাদের পরীক্ষা নেওয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন এবং প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

বিজ্ঞাপন

এসময় তারা বলেন, এদেশের মানুষের রক্তের উপর দাড়িয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের অবহেলা করে কোনো রকম ঘুষ বাণিজ্য করে এদেশে পরীক্ষা নিতে দেওয়া হবে না। এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত সিভিল সার্জন ও আরএমও-কে পদত্যাগ করতে হবে। যারা দিনের ভোট রাতে নিয়েছে তারাই আমলা সেজে দিনের পরীক্ষা রাতে নিচ্ছে। আমারা এই পরীক্ষা ও পরীক্ষার ফলাফল বাতিল চাই। এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় নিতে হবে।

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. শেখ মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগম্যাধমে যে রিপোর্ট এসেছে তার সঙ্গে আমাদের নিয়োগের কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছিনা। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও, সে ওখানে কাজ করে, তার ভাই আমাদের দফতরে আছেন। আমি তাকে ব্যাক্তিগতভাবে চিনি না। তারা আমাদের নিয়োগের সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত না। এই প্রশ্ন রেডি হওয়া পর্যন্ত আমি ও আমাদের পরিচালক স্যার সব সময় তদারকি করেছি। তাছাড়া প্রশ্ন যে ফাঁস হয়েছে তার নমুনা কেউ দেখাতে পারলো না।’

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় সম্প্রতি সাতটি পদে মোট ১১৫ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হয় ৪ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। এতে, স্বাস্থ্য সহকারী ৯৭ জন, পরিসংখ্যানবিদ ৩ জন, কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান একজন, স্টোর কিপার চারজন, সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পাঁচজন এবং ড্রাইভার চারজন। নিয়ম মাফিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার সকাল ১০টায় শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর