রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর পাংশায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে র্যাব পরিচয়ে মুরগি বোঝাই পিকআপভ্যান ডাকাতির ঘটনায় দুইজনকে পিকআপভ্যানসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) তাপস কুমার পাল গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার মৃত চাঁদ মিয়ার ছেলে জুয়েল (৪০) ও গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার নওহাটা গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে লিমন মিয়া (৩২)।
পুলিশ জানায়, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থেকে সোনালি মুরগি বোঝাই একটি পিকআপভ্যান ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে আসার সময় মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ভোরে রাজবাড়ী–কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মৈশালা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে র্যাব লেখা একটি সাদা মাইক্রোবাস তাদের গতিরোধ করে। পরে মাইক্রোবাস থেকে ১০–১২ জন নেমে এসে নিজেদের র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে চালক, সহকারী ও লাইনম্যানের হাত, মুখ ও চোখ স্কচটেপ দিয়ে বেঁধে ফেলে পিকআপ ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
পিকআপভ্যানটির মালিক মো. হাসানুজ্জামান এ ঘটনায় পাংশা মডেল থানায় ১৩-১৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।
পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) গভীর রাতে ঢাকার আশুলিয়ার পলশাবাড়ি মোড় এলাকা থেকে জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে লিমন মিয়াকে আটক করা হয়। লিমনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানটি বরিশালের রূপাতলি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার জুয়েল ওরফে সানির বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতি, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানায় মারামারি ও চুরি সংক্রান্ত ও লিমন মিয়ার বিরুদ্ধে ফরিদপুরের নগরকান্দা ও কোতয়ালী থানায় ডাকাতি, অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ বিভিন্ন মামলা, ভাঙ্গা থানায় ডাকাতি ও বিস্ফোরণ আইনে মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।