স্মৃতি সব সময়ই বেদনার—এটা না-ও হতে পারে। এভাবেই ভাবতে ভালবাসেন টালিগঞ্জের অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তী। এ প্রসঙ্গে তার যুক্তি হলো, ‘আমরা যখন দূর থেকে একটা পাহাড় বা নদীকে দেখি, তখন তাকে সম্পূর্ণ দেখতে পাই। পরিপূর্ণভাবে দেখতে পাই বলেই সে শুধুই সুন্দর।’ সৌরভের কাছে সম্পর্কও তেমনই। রোববার (২৬ অক্টোবর) প্রাক্তন স্ত্রী মধুমিতা সরকারের কথা বলতে গিয়ে এই উপমাই দিলেন তিনি।
কথাপ্রসঙ্গে তিনি এই ঘেষণা দেন যে, ২০২৬-এ তিনিও নতুন খবর শোনাতে চলেছেন অনুরাগীদের। নতুন কিছু ঘটতে চলেছে তার জীবনেও। সৌরভের জীবনে কি প্রেম এসেছে? মনের মানুষকে খুঁজে পেয়েছেন তিনিও? প্রশ্নে অবশ্য মুখে কুলুপ এই অভিনেতার।
তবে প্রাক্তন স্ত্রীকে নিয়ে তার হৃদয়ে কোনো তিক্ততা নেই, সে কথা জোর গলায় জানিয়েছেন সৌরভ। পালটা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমরা এখন স্বাধীন দুটো মানুষ। আমাদের নিজস্ব জীবন, নিজস্ব ভাবনা। কেন অতীত আঁকড়ে বাঁচতে হবে?’
অভিনেতা চান, অতীত অতীতের মতোই থাকুক। তার মানে এ-ও নয়, তিনি অতীতকে অস্বীকার করছেন। যেমন, মধুমিতা যখন স্ত্রী ছিলেন, তখন তার জন্মদিনের আগের রাতে কেক কেটে উদযাপন করতেন। কিংবা জন্মদিনের দিন মধুমিতার জন্য বিশেষ আয়োজন করা—এ সব কিছুই ভোলেননি। তার মানে এই নয়, সেগুলো ফলাও করতে বলতে হবে।
বরং তিনি মনে করেন, এতে বিড়ম্বনা বাড়বে। মধুমিতার হবু স্বামী দেবমাল্য চক্রবর্তী অস্বস্তিতে পড়তে পারেন। একই অনুভূতি তৈরি হতে পারে অভিনেত্রীর মনেও। প্রত্যেকের নিজের মতো করে বাঁচার, ভাল থাকার অধিকার আছে বলে মনে করেন তিনি।
খবর, চলতি বছরের শেষে হয়তো দেবমাল্য-মধুমিতার চার হাত এক হতে পারে। মধুমিতা আমন্ত্রণ জানালে সৌরভ সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন? একইভাবে নতুন বছরে যদি সত্যিই তিনি নতুন জীবন শুরু করেন তাহলে কি তিনিও মধুমিতাদের ডাকবেন? অভিনেতার ঠোঁটের ডগায় জবাব অপেক্ষাই করছিল! তিনি বলেন, ‘মধুমিতা কী করবে না করবে সেটা সম্পূর্ণ তার ব্যাপার। এ সব নিয়ে আমি বলার কে?’
তারপরেই হাসতে হাসতে দাবি, ‘আমি তো এখনও জানাইনি যে, নতুন বছরে নতুন জীবনে প্রবেশ করছি কি না। ফলে, এ সব বলারও কিছু নেই।’