ঢাকা: পুঁজিবাজারে শরিয়াহসম্মত সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ৯ সদস্যের নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল (এসএসি) গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বিএসইসি’র মুখপাত্র আবুল কালামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মকসুদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়।
নবগঠিত শরিয়াহ বিশেষজ্ঞ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল সদস্যরা হলেন- ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. নাসরুল্লাহ নাকিব মুহাম্মদ, ন্যাশনাল শরিয়াহ স্কলার ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মনজুর-ই-এলাহী, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মিরপুরের সিনিয়র মুফতি ও মুহাদ্দিস মুফতি মাসুম বিল্লাহ, জামিয়াহ শরিয়াহ’র সিনিয়র ডেপুটি মুফতি মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন।
শিল্প ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল সদস্যরা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অরলিন্সের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কবির হাসান, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ. কে. এম. মাজেদুর রহমান এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ ফাইন্যান্স অফিসার মোহাম্মদ আব্দুর রহিম। এ শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রফেসর ড. নাকিব মুহাম্মদ নাসরুল্লাহ।
বিএসইসি’র আদেশে উল্লেখ বলা হয়েছে, বিএসইসি মনে করছে যে, ইসলামিক শরিয়াহ্ভিত্তিক সিকিউরিটিজ সঠিকভাবে ইস্যু, ইসলামী শরিয়াহ্র আলোকে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশের ইসলামিক মূলধন বাজারের উন্নয়নে একটি শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠন করা প্রয়োজন। সে কারণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিকিউরিটিজ মার্কেট শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল) বিধিমালা, ২০২২-এর বিধি ৪ ও বিধি ৫ অনুযায়ী মোট ৯ জন সদস্য নিয়ে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন শরিয়াহ বিশেষজ্ঞ এবং ৪ জন বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ।
বিএসইসি জানায়, এই শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল ইসলামিক শরিয়াহ’র আলোকে শরিয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজ ইস্যু, অনুমোদন ও তদারকি কার্যক্রমে পরামর্শ দেবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা এবং ইসলামিক পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কমিশন মনে করে, বাংলাদেশে ইসলামিক আর্থিক খাত দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি ইসলামিক বন্ড (সুকুক), শরিয়াহভিত্তিক মিউচুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য সিকিউরিটিজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব কার্যক্রম যেন শরিয়াহ্র নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয়, সেটি নিশ্চিত করতেই এ কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। ইসলামিক পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও শরিয়াহ নিয়মের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্যই এই উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। এটি দেশের আর্থিক খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।