ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ঢাকা সফররত কমনওয়েলথ-এর প্রাক্-নির্বাচনি মূল্যায়ন মিশন।
প্রতিনিধি দলের নেতা সংস্থার ইলেক্টোরাল সাপোর্ট সেকশন (ইইএস) প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র একটি চলমান যাত্রা। কমনওয়েলথ বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করতে আগ্রহী— শুধু নির্বাচনের সময় নয়, নির্বাচন-পরবর্তী সময়েও, যাতে বাংলাদেশ পরবর্তী শাসনচক্রে আরও শক্তিশালীভাবে এগিয়ে যেতে পারে।
আমাদের উপস্থিতি বাংলাদেশের জনগণকে সহায়তা করার সেই আন্তরিক আগ্রহের প্রতিফলন- বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার, পাঁচ সদস্যের কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দল ও ইসি’র সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ইসি’র পক্ষ থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও আইন-শৃঙ্খলার সার্বিক বিষয়ে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করা হয়।
লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কয়েকটি বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছি। এর মধ্যে অন্যতম হলো, আগামী নির্বাচনে কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশের সকল অংশীজনের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন আছে কি না- তা যাচাই করা।
তিনি বলেন, আমরা বর্তমান পরিস্থিতি ও নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কেও মূল্যায়ন করব। সাধারণত, যখন কোনো কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর আমন্ত্রণ পাওয়া যায়, তখন কমনওয়েলথ মহাসচিব একটি প্রাক্-নির্বাচনী মূল্যায়ন মিশন পাঠান।
লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ বলেন, আমাদের জন্য বিভিন্ন সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনকে এবং নির্বাচন কমিশনার ও সিনিয়র সচিবকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, যারা আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজই আমাদের সফরের প্রথম দিন, আমরা এখানে আগামী শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) পর্যন্ত থাকব। এই সময়ে আমরা রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক দাতা ও কূটনৈতিক মহল এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন, কমনওয়েলথের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ় ও দীর্ঘদিনের। স্বাধীনতার পর ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ যে প্রথম আন্তর্জাতিক সংস্থায় যোগ দিয়েছিল, সেটি ছিল কমনওয়েলথ। তখন থেকেই কমনওয়েলথ বাংলাদেশের জনগণকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের অপর চার সদস্য হলেন- সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের ড. দিনুষা পান্ডিতারত্নে, আইন উপদেষ্টা ন্যান্সি কানিয়াগো, সহকারী গবেষণা কর্মকর্তা সার্থক রায় এবং ইইএস নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাডোনা লিঞ্চ।