Monday 27 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দুর্যোগকে জয় করে আমরা এগিয়ে যাব’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৪০ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:১৩

ভিত্তিপ্রস্তর উম্মোচন করছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ কামরুল হাসান। ছবি: সারাবাংলা

বাগেরহাট: বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ কামরুল হাসান বলেছেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের বারবার আঘাত করলেও আমরা হতাশ হই না, বরং নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাই। দুর্যোগকে জয় করে আমরা এগিয়ে যাব।’

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফাশিয়াতলা গ্রামে নবনির্মিত বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান আরও বলেন, ‘সরকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জনগণকে সুরক্ষায় এসব আশ্রয়কেন্দ্র হবে নিরাপদ দুর্গ। একইসঙ্গে এই কেন্দ্রগুলো শিক্ষা, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমেও ব্যবহার করা যাবে। জনগণের সম্পৃক্ততা থাকলে যেকোনো সংকট আমরা সহজেই মোকাবিলা করতে পারব।’

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সাহসী। তারা প্রতিকূলতাকে ভয় পায় না। সরকার ও জনগণ মিলে কাজ করলে দুর্যোগ কোনো বাধা নয় বরং নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত, সচেতন ও সংগঠিত থাকতে হবে।’

জার্মান সরকারের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত এ আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জমিদাতা মো. সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ।

বিশেষ অতিথি মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে কাজ করছে। আশ্রয়কেন্দ্র শুধু দুর্যোগের সময় আশ্রয় নয়, এটি হবে স্থানীয় জনগণের মিলনমেলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র। আমরা চাই এই কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহার নিয়ে সবাই একসঙ্গে কাজ করুক।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতির প্রতিকূলতা ঠেকানো সম্ভব নয়, তবে সচেতনতা, প্রস্তুতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়। প্রশাসন সর্বদা জনগণের পাশে থাকবে।’

অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, এ ধরনের বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র কেবল দুর্যোগকালীন নিরাপত্তা নয়, বরং শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও মানবসম্পদ বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সারাবাংলা/জিজি
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর