নীলফামারী: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও নীলফামারী–০১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান—দুটিকে সমানভাবে মর্যাদা দিতে হবে। একটি ঘটনাকে হাইলাইট করতে গিয়ে অন্যটিকে অবমূল্যায়ন করা কুৎসিত রাজনীতি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নীলফামারীর ডোমারে নাট্য সমিতি মিলনায়তনে জমিয়ত সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নবনির্বাচিত সভাপতি আলহাজ্ব মো. সাজ্জাদ কিবরিয়া পাপ্পু।
আফেন্দী বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনের ট্রেন চলা শুরু করেছে। এই নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও চক্রান্ত তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আমরা কোনো টালবাহানা বরদাশত করব না। নির্ধারিত সময়েই নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সংবিধান রক্ষার পক্ষপাতী। একইসঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর আলোকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যাশা করি। কেউ ফ্যাসিবাদের স্বপ্ন দেখলে তাদের ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা হবে।’
শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শহিদ আবু সাঈদসহ যারা নির্যাতন, গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন— তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নীলফামারী জেলা সভাপতি মাওলানা ইসমাইল হোসেন রিয়াজী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ মঞ্জুরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
পরবর্তীতে কাউন্সিল অধিবেশনে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন আলহাজ্ব মো. সাজ্জাদ কিবরিয়া পাপ্পু এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাহিদ হাসান।