সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ শহরে যানজট এখন নিত্যদিনের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার ( ২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে আলফাত স্কয়ার থেকে কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে যেতে দেখা গেছে অনেককে। এ সময় স্থবির হয়ে পড়ে যান চলাচল। অফিসগামী লোকজন, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
স্থানীয়রা বলছেন, সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ, এতে যানজট বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। যানবাহনের চাপ সইতে পারছে না অপ্রশস্ত সড়ক। বিশেষ করে শহরের আলফাত স্কয়ার এলাকা, কালীবাড়ি মোড়, পুরাতন বাসস্টেশন প্রভৃতি স্থানে অসহনীয় যানজট তৈরি হয়। সড়ক প্রশস্ত না করে কেবল যানবাহন বাড়ানোয় ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ এর মতো অবস্থা হয়েছে।
এম.এস মেডিকেল শপের কর্মচারী জয়দেব দাস জানান, ফুটপাত ও রাস্তার পাশ দখল করে দোকান ও অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে উঠেছে। পথচারীদের মূল সড়ক দিয়ে চলতে হয়, এতে যানবাহনের গতি কমে যায়।
এছাড়া ,কাজিরপয়েন্ট, বকপয়েন্ট ও মল্লিকপুর এলাকায় চলমান সংস্কার কাজের জন্য যান চলাচলে ভয়াবহ বিঘ্ন ঘটছে।
জামতলার বাসিন্দা সায়মন ইসলাম বলেন, ‘নিবন্ধনবিহীন ব্যাটারি চালিত রিকশার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যানজট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এসব রিকশা ট্রাফিক আইনের বাইরে থাকায় চালকরা যেখানে-সেখানে থামছেন, ব্যাহত হচ্ছে রাস্তার স্বাভাবিক চলাচল।’
সোমপাড়ার বাসিন্দা স্বপন দাস বলেন, ‘সিগন্যালবিহীন মোড়ে বিভিন্ন দিক থেকে একসঙ্গে যানবাহন এলে স্থবির অবস্থা তৈরি হয়। নিয়ম মানার অভাব ও তদারকির ঘাটতিতে শৃঙ্খলা থাকে না।’
পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিনই মানুষকে যানজটে আটকে থাকতে হয়, এতে ব্যবসার সময় নষ্ট হচ্ছে।’
রিকশা চালক মজিবুর রহমান বলেন, ‘রাস্তা সরু, গাড়ি বেশি। আমরা একটু দাঁড়ালেই সবাই চেঁচামেচি করে।’
পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী সোহেল আহমেদ বলেন, ‘পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে আব্দুজ জহুর ব্রিজ পর্যন্ত বেশি যানজট হয়। এছাড়া, শহরে প্রবেশ করা ভারী যানবাহন ও অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচলও যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ।’
এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর আবু হানিফ বললেন, ‘সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের জেলা পরিষদের সামনে মোবাইল কোর্ট চলছিল, এজন্য বিপুল সংখ্যক যানবাহন শহর থেকে বের হয়নি। আমাদের এডিশনার এসপি সাহেবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের গাড়ি জ্যামে আটকে ছিল। আজ থেকে পুরাতন বাসস্টেশনে সার্বক্ষণিক দুইজন পুলিশ থাকবে। যানবাহন জামাইপাড়া সড়ক দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। আশা করি, জ্যাম থাকবে না।’