রংপুর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের প্রথম সভাপতি হিসেবে প্রকাশ্যে কাজ করতে না পেরে গোপনে নামাজ পড়তে হয়েছিল বলে দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, জুলাই পরবর্তী সময়ে শিবির সুযোগ পেয়ে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। মিথ্যা প্রচারণায় দমানোর চেষ্টা করায় ছাত্রদের মধ্যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বদরগঞ্জের কাঁচাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামায়াত আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াতকে রাজাকার-স্বাধীনতাবিরোধী বলে প্রচার আর জনগণ বিশ্বাস করে না। ছাত্ররা ভোট দিয়ে শিবিরকে নির্বাচিত করেছে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির রায় পেয়েও খালাস পাওয়া নিজের মামলার প্রসঙ্গে বলেন, ‘মিথ্যা সাক্ষ্যে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার অপরাধ- জনগণের পাশে থাকা, ভারতীয় আধিপত্য রোধ ও আল্লাহর আইন কায়েমের চেষ্টা।’
রংপুর-২ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট চেয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক দল দেখেছেন, এবার জামায়াতকে পরীক্ষা করুন। নির্বাচিত হলে আমানতের খেয়ানত হবে না।’
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার রক্তে দেশ জুলুমমুক্ত। আগামী নির্বাচনে ইসলামী শক্তির ঐক্য চাই।’
লোহানীপাড়া ইউনিয়ন জামায়াত আমির আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত আমির শাহ মুহাম্মদ রোস্তম আলী, সেক্রেটারি মেনহাজুল ইসলাম, বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।