Tuesday 28 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সহপাঠীর ‘অপ্রীতিকর ছবি’ তুলে বন্ধুকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট
২৯ অক্টোবর ২০২৫ ০১:১১ | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ০১:১৭

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বাকৃবি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গোপনে নারী শিক্ষার্থীদের অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলে এক সিনিয়র ছাত্রের কাছে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থী দেবশ্রী দত্ত রাত্রী সদ্য ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। ওই শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে মেয়েদের ঘুমন্ত বা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে তার সিনিয়র সহপাঠী শরীফ ইসতিয়াক আকাশের কাছে পাঠাতেন। আকাশ একই অনুষদের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি প্রকাশ পেলে সোমবার ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিভাগীয় শিক্ষক ও কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিনের কাছে অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত রাত্রীর সহপাঠীদের অভিযোগ, ইন্টার্নশিপ চলাকালীন রাত্রীর সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করেন তারা। এরপর তাকে নজরদারিতে রাখা হয়। পরে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, তিনি মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলতেন। বিষয়টি প্রমাণ হওয়ার পর তারা বিভাগীয় শিক্ষকদের অবহিত করেন এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

ঘটনাটি তদন্ত ও সমাধানের জন্য কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষককে মৌখিকভাবে দায়িত্ব দেন। পরে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা ডিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসে। আমরা অভিযুক্ত ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে ছবির আদান-প্রদানের প্রমাণ পাই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি মেয়েদের বিভিন্ন ছবি তুলতেন এবং তা এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছে পাঠাতেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ওই মোবাইলটি সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অভিযুক্ত সিনিয়র শিক্ষার্থী ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির লেকচারার শরীফ ইসতিয়াক আকাশও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। স্বীকারোক্তিমূলক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমি মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। সে যেসব ছবি পাঠিয়েছে, আমি তা সংরক্ষণ করিনি। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না, তবে আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।’

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর