দুজনেই আছেন অবসরের দ্বারপ্রান্তে। ইউরোপিয়ান ফুটবলও ছেড়েছেন অনেক আগেই। লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো অবশ্য এখনো বিশ্ব ফুটবলে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। সেটা আবারও প্রমাণিত হলো ফিফপ্রোর সেরা একাদশের জন্য ঘোষিত ২৬ জনের স্কোয়াডের তালিকায়। ২০২৫ সালের ফিফপ্রো সেরা একাদশের জন্য আবারও মনোনীত হয়েছেন মেসি-রোনালদো দুজনেই।
মেসি খেলছেন মেজর সকার লিগের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। রোনালদো আছেন সৌদি প্রো লিগের আল নাসরে। দুজনেই নিজ ক্লাবের হয়ে আছেন দুর্দান্ত ফর্মে।
শুধু ক্লাব নয়, মেসি ও রোনালদো জাতীয় দলের হয়েও আছেন দারুণ ফর্মে। গত সপ্তাহেই রোনালদো ছুঁয়েছেন ৯৫০ গোলের রেকর্ড। ২৮ ম্যাচে ২৯ গোল করে মেসিও হয়েছেন এবারের মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
২০২৫ সালের পুরুষদের ফিফপ্রো একাদশের জন্য নির্বাচিত ২৬ ফাইনালিস্টের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন মেসি-রোনালদো দুজনেই। মেসি-রোনালদো ছাড়া প্রকাশিত তালিকায় চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী পিএসজি থেকে সাতজন খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন—মার্কিনিওস, ভিতিনিয়া, জোয়াও নেভেস, আশরাফ হাকিমি, নুনো মেন্দেস এবং বর্তমান ব্যালন ডি’অর বিজয়ী উসমান দেম্বেলে। বর্তমানে পিএসজিতে না থাকলেও এই ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে জায়গা পেয়েছেন কিপার জিয়ানলুইজি ডোনারুমা।
রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ফাইনালিস্টের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন কিপার থিবো কোর্তোয়া, জুড বেলিংহাম, ফেদেরিকো ভালভের্দে ও কিলিয়ান এমবাপে। গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে নৈপুণ্য দেখিয়ে বর্তমানে রিয়ালে আসা ট্রেন্ট আলেকজান্ডার–আর্নল্ডও জায়গা পেয়েছেন তালিকায়। ঘরোয়া ট্রেবল জেতা বার্সেলোনা থেকে রাখা হয়েছে পাউ কুবারসি, পেদ্রি, লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়াকে।
ফিফপ্রোর এই পুরস্কার নির্ধারিত হয় বিশ্বের পেশাদার ফুটবলারদের ভোটের মাধ্যমে। এ বছর প্রায় ২০ হাজার খেলোয়াড় তাদের ভোট দিয়েছেন।
এ তালিকার জায়গা পাওয়ার শর্ত হচ্ছে, খেলোয়াড়দের অবশ্যই ১৫ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত অন্তত ৩০টি অফিশিয়াল ম্যাচে অংশ নিতে হবে। চূড়ান্ত একাদশে থাকবে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া একজন গোলকিপার, তিনজন ডিফেন্ডার, তিনজন মিডফিল্ডার, তিনজন ফরোয়ার্ড এবং সর্বোচ্চ মোট ভোট পাওয়া খেলোয়াড়—যেকোনো পজিশন থেকে।