ঢাকা: ফোয়ো মিডিয়া ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটর্স নেটওয়ার্কের (সিজেইএন) সহযোগিতায় এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহঅর্থায়নে সাংবাদিকতায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো “এজাইল উইমেন মিডিয়া লিডার্স অব টুমরো” ওয়ার্কশপ। এই ওয়ার্কশপ নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ পেলেন সাংবাদিকতার ২০ ছাত্রী।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে, গত ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত গাজীপুরের বিসিডিএমে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ২০ জন নারী শিক্ষার্থী অংশ নেন, যারা সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও মেন্টররা ওয়ার্কশপের সেশনগুলো পরিচালনা করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন সুইডিশ সাংবাদিক ও ফোয়ো মিডিয়া ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সার্সটি ফোর্সবার্গ, ঢাকায় এএফপির ব্যুরো প্রধান শেখ সাবিহা আলম, যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ, গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের ( জিআইজেএন ) বাংলা এডিটর এসকে তানভীর মাহমুদ, রেস্ট অব ওয়ার্ল্ডের ফেলো জেসমিন পাপড়ি এবং নিউজ২৪ টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মরিয়ম আজিজ মৌরিন।
তারা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব, গণমাধ্যম নীতি, পেশাগত দৃঢ়তা এবং পেশাগত উন্নয়নের বিষয়ে ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা দেন।
শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণমূলক এ আলোচনার মাধ্যমে শিখেছেন কীভাবে একজন শিক্ষানবিস সাংবাদিক ধাপে ধাপে নিউজরুম লিডারও হতে পারেন। কর্মশালায় নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনার পার্থক্য, ব্যক্তিগত ও পেশাগত চ্যালেঞ্জ, ব্যর্থতা ও সাফল্যের গল্পগুলোও আলোচনা করা হয়।
সেশনগুলোতে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, পেশাদার নেটওয়ার্ক তৈরি, মেন্টরশিপ এবং নিউজরুমে দক্ষভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিউজরুম নিরাপত্তা, হয়রানি মোকাবেলা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও হুমকির বিষয়গুলো নিয়ে বাস্তবমুখী আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন সেশনে বাংলাদেশের মিডিয়ায় নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা উঠে আসে।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা জিআইজেএন বাংলা এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যবান ক্যারিয়ার পরামর্শ পেয়েছেন।
কর্মশালায় মেন্টরশিপ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং অব্যাহত সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়, যা সাংবাদিকতার ভবিষ্যত গঠনে সহায়ক হবে।