Wednesday 29 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাদরাসা ছাত্রকে পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মুক্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:০১

উদ্ধার হওয়া মাদরাসা ছাত্র।

পিরোজপুর: পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় এক কওমি মাদরাসায় অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদরাসা থেকে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় ওসমান মল্লিক (৬) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাজেরা শাখার আবাসিক ছাত্র ওসমান দুই দফা মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ায় শিক্ষকরা শাস্তি হিসেবে তার পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে পাঠদান চালিয়ে আসছিলেন। এতে শিশুটির পায়ে ব্যথা ও জখমের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পান। পরে বিষয়টি ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আক্তারের নজরে এলে তিনি দ্রুত ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তাদের উপস্থিতিতে শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার বলেন, “অমানবিক এই ঘটনাটি আমার নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি বাচ্চাটিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। শিশু বাচ্চাটির সঙ্গে কেন এমন আচরণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ভুক্তভোগী শিশু ওসমান মল্লিক ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের কালাম মল্লিকের ছেলে। সে দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদরাসার নাজেরা শাখায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছে।

এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল নির্দোষ শিশুর ওপর এমন অমানবিক আচরণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর