ঢাকা: পুঁজিবাজারে এসএমই খাতে তালিকাভুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে দেশীয় প্রযুক্তি খাতের অগ্রণী প্রতিষ্ঠান ‘লিও আইসিটি ক্যাবলস পিএলসি’। কোম্পানিটি ৭ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় কোম্পানিটি কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার (কিউআইও)-এর জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ‘এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড’।
জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর লিও আইসিটি ক্যাবলস পিএলসি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে কিউআইও আবেদন করেছে। একইসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কাছে কিউআইও’র আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রস্তাবিত কিউআইও’র আওতায় কোম্পানিটি ৭ কোটি টাকা উত্তোলনের পরিকল্পনা করেছে। এই অর্থ মূলত উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মূলধন ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য এবং কিউআইও’র কাজে ব্যয় করা হবে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে অবস্থিত লিও আইসিটি ক্যাবলসের ফাইবার অপটিক কেবল, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ও অপটিক্যাল নেটওয়ার্কিং ইউনিট উৎপাদন করে। আধুনিক প্রযুক্তি ও উচ্চমানের কাঁচামাল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশের ডিজিটাল ও জ্বালানি অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখছে।
কোম্পানির ফাইবার অপটিক কেবল আন্তর্জাতিক মানের আইটিইউ-টি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী তৈরি এবং বুয়েট সার্টিফায়েড, যা পণ্যের স্থায়িত্ব ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে। বর্তমানে কোম্পানিটির পণ্য ব্র্যাকনেট লিমিটেড, লিঙ্ক থ্রি টেকনোলজিস, অগ্নি সিস্টেমস ও ইন্টারক্লাউড কানেকটিভিটি সলিউশনসসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করছে।
কোম্পানিটি আশা করছে পুঁজিবাজারে প্রবেশের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে এবং দেশের প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজারে বৈচিত্র্য দেশের অর্থনীতিতে তালিকাভুক্তি লিও আইসিটি ক্যাবলসের এই উদ্যোগ বিএসইসির “এসএমই মার্কেট ও শিল্প-খাত উন্নয়ন কর্মসূচি” এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলে উৎপাদনমুখী বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে বলে আনবে।
এ বিষয়ে লিও আইসিটি ক্যাবলস পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোমেনুল হক মোমেন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ আমাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধির নতুন যুগ সূচনা করবে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করে প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প বিকাশে অবদান রাখাই আমাদের লক্ষ্য। কোম্পানিটি ভবিষ্যতে উৎপাদন সম্প্রসারণ, রফতানি সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখাবে বলে প্রত্যাশা করছি।