ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, আগামী ১৫ ডিসেম্বের মধ্য সব ভোটকেন্দ্র এবং ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব রাস্তাঘাট সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই কথা জানান তিনি।
ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজারের বেশি উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, ‘প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং অফিসার এসব কেন্দ্রেরে জন্য লাগবে।’
দুর্গম এলাকায় নির্বাচনি সরঞ্জাম পৌঁছানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরঞ্জাম পরিবহনে হেলিকপ্টার সার্ভিস লাগবে। বিমানবাহিনী বা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এই সহায়তা পাওয়া যাবে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘প্রচারণায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার দায়িত্ব পালন করবে। সেইসঙ্গে সংসদ টিভি ও বিটিভি নিউজও ভূমিকা রাখবে। পাবলিক স্কুল ও কলেজের পরীক্ষা যেন ভোটের সময়সূচিতে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে।’
শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসনকে তফসিলের শুরু থেকেই নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ দেয়ার কথা জানান ইসি সচিব।
ভোটের দিন প্রতিটি উপজেলায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ইউনিয়ন পর্যায়েও ক্লাস্টারভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হবে। এসব টিমে একজন চিকিৎসক, একজন নার্স ও প্রয়োজনীয় ওষুধ থাকবে। সেই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস নির্বাচনকালীন সময়ে প্রতিটি জেলায় তাদের প্রস্তুত টিম থাকবে।
বাজেট বরাদ্দ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘অর্থ বিভাগকে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে, তবে সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় খরচ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় ব্যয় না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়।’
বিদ্যুৎ সরবরাহ বিষয়ে ইসি জোর দিয়ে বলেন, ‘ভোট গ্রহণ ও গণনার সময় যেন বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। এ সময় গগণভোটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এটি ইসির এখতিয়ার নয়, সরকারের সিদ্ধান্তের নয়।’
১৫ জানুয়ারির মধ্যে ভোটকেন্দ্র ও রাস্তাঘাট সংস্কারের নির্দেশ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩০ অক্টোবর ২০২৫ ২০:০২ | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৫১
৩০ অক্টোবর ২০২৫ ২০:০২ | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৫১
সারাবাংলা/এনএল/এনজে