ঢাকা: মাত্র ২০ টাকায় ফুলকপি। পাতাকপির দামও প্রায় একই। আর শিমের কেজি ৫০ টাকা। শুনতে অনেকটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও অনেক বাজারেই শীতের সবজি এখন এমন দামেই বিক্রি হচ্ছে। সবমিলিয়ে বাজারে এখন অধিকাংশ সবজিই হাতের নাগালে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, বিজয় সরণীর কলমিলতা, মহাখালীর বউবাজার ও শেওড়াপাড়ার ইব্রাহিমপুর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেশ কিছুদিন ধরেই শীতকালের সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে। শুরুতে ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও গত সপ্তাহে বেশিরভাগ বাজারে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে শিম বিক্রি হয়েছে। তবে গত তিন থেকে চার দিন ধরে বিভিন্ন দোকান ও বাজারে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে শিম বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারে এখন প্রায়ই দেখা মিলছে মাঝারি বা ছোট আকারের ফুলকুপি। ছোট সাইজের প্রতিটি ফুলকপি কিছুদিন আগেও ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকায়। ছোট সাইজের পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি মূলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়।

ছবি: সারাবাংলা
ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা ইব্রাহিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সবজির বাজার প্রায় গত ৬ মাস ধরে চড়া। ১০০ টাকার নিচে সবজিই পাওয়া যাচ্ছিল না। এখন সেই ভাব নেই। এখন শীতকালীন সবজি ৫০ টাকা কেজিতে কেনা যাচ্ছে। বাজারে সব ধরণের সবজির দামই কম।’
বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ ১২০ থেকে থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, কচুর লতি ৫০ টাকা, বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, ধন্দুল ৭০ টাকা ও পটল ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জালি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকা ও শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া করলা ৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা ও কচুর মুখি প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইব্রাহিমপুরের সবজি বিক্রেতা হিল্লোল মিয়া বলেন, ‘শীতের সবজি আসছে। এখন প্রচুর শীতকালীন আগাম সবজি আসছে। তাই সবজির দাম কিছুটা কমেছে। কমবেশি সব সবজির দামই কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।’
এদিকে, বাজারে এখন নাজিরশাইল চাল ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও তা ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। মোটা চালের মধ্যে পায়জাম ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়, যা কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। তবে মিনিকেট চাল আগের দামেই ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে পেঁয়াজের দাম আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে।
ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগিও ২৬০ টাকা থেকে বেড়ে ২৮০ টাকায় উঠেছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে গরু ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি ও খাসি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
 
                                     
                        