পিরোজপুর: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক হৃদয় হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রিয়াদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) তাকে মঠবাড়িয়া থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে মঠবাড়িয়া সদর উপজেলার উত্তর মিঠাখালী এলাকায় র্যাবের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
রিয়াদ হাওলাদার ওই উপজেলার হারজি নলবুনিয়া গ্রামের এমাদুল হাওলাদারের ছেলে।
র্যাব-৮ সূত্রে জানা যায়, নিহত হৃদয় (১৭) ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য। গত ২১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি প্রতিদিনের মতো ইজিবাইক নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। ওইদিন বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে মঠবাড়িয়া স্ট্যান্ড থেকে সর্বশেষ ফোনে তার বাবার সঙ্গে কথা হয়। এরপর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরদিন অনেক খোঁজাখুঁজির পরও হৃদয়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ২২ অক্টোবর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোনে হৃদয় ও ইজিবাইক ফেরত দেওয়ার জন্য ৪২ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর আসে—মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বহেরাতলা-আলগী পাতাকাটা সড়কের পাশে খালের ধারে বিছানার চাদর ও প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের বাবা মরদেহ শনাক্ত করেন।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের সময় দেখা যায়, হৃদয়ের গলা কাটা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। র্যাব-৮ হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। তদন্তে রিয়াদ হাওলাদার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয় র্যাব। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য সহযোগীদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
