ইবি: যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট নিরসনে বিশুদ্ধ পানির প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
‘Hands For Humanity’ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘ফুড প্রজেক্ট সেপ্টেম্বর- ২০২৫’ শিরোনামে এ প্রকল্প পরিচালিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তৃতীয় পর্যায়ে এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিন হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়, যার মাধ্যমে প্রায় ৫০০ জন সহায়তা পায়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান কবির ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এ ‘হ্যান্ডস ফর গাজা’ ফাউন্ডেশন গঠন করেন। পরে তার বিভাগের বন্ধু ইয়াসিন আরাফাত, আলিনূর রহমান বাঁধন, জহিরুল ইসলাম, সজ্জাত হোসেন তামিম, জাহিদ হাসান, আশরাফুল ইসলাম, নাইম হাসান, মাসুদ রানা, সৌরভ হোসেন ও ইশতিয়াক হোসেনসহ অন্যরা ফাউন্ডেশনের কাজ বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করেন।
এই ফাউন্ডেশনের অধীনে প্রথম পর্যায়ে ‘ফুড প্রজেক্ট জুলাই-২০২৫’ প্রকল্পের মাধ্যমে গাজার মানুষদের শুকনো খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই প্রকল্পের মাধ্যমে গাজার ২৫টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রেরণ করা হয়।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা রায়হান কবির জানান, ফিলিস্তিনের অসহায়, ক্ষুধার্ত ও পিপাসার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে তারা এই উদ্যোগ নেন। এর আগে সংগঠনটি দুটি ফুড প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে গাজার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, ‘আগে আমরা দুটি খাদ্য সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি—একটি গত জুলাই মাসে, যেখানে ৮০০ মার্কিন ডলারের সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয় এবং অপরটি সেপ্টেম্বর মাসে ৫০০ ডলারের একটি ফুড প্রজেক্ট। এবার গাজার মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নিই। আলহামদুলিল্লাহ সেই প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’
অক্টোবর ২০২৫-এ বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিন হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়, যার মাধ্যমে প্রায় সহায়তা পান ৫০০ জন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৪০ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়, যা সংগঠনটির সদস্য ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষীর আর্থিক সহযোগিতায় সংগৃহীত হয়।
সংগঠনটির নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে রায়হান কবির জানান, ‘আমরা আগে Hands For Gaza Foundation নামে কাজ করতাম। তবে কাজকে আরও সার্বজনীন ও বিস্তৃত করতে উপদেষ্টা পরিষদ ও সদস্যদের পরামর্শে নাম পরিবর্তন করে Hands For Humanity রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংগঠনটিকে স্থায়ী কাঠামো দিতে গঠনতন্ত্র প্রণয়নসহ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই সংগঠনে যারা সময়, অর্থ ও পরামর্শ দিয়ে আমাদের পাশে ছিলেন, আমরা তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’