টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৯তম জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে মির্জাপুর রণদা নাটমন্দির প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেষ্ঠ্য আইনজীবী নিহাদ কবির।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা, মির্জাপুর পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা, কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার পরিচালক শম্পা সাহা, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিরা শিশুদের নিয়ে ১২৯টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন। আলোচনা সভা শেষে শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৮৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর দেবেন্দ্রনাথ পোদ্দার ও কুমুদিনী দেবীর দ্বিতীয় পুত্র রণদা সাভারের মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বেড়ে ওঠেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। ১৯৩৮ সালে শোভাসুন্দরী ডিসপেনসারি ও ভারতেশ্বরী বিদ্যাপীঠ দিয়ে জনহিতকর কাজ শুরু করেন তিনি। তখন পুরোটাই তার নিজস্ব সম্পত্তি ছিল।
তিনি ১৯৪৭ সালে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। পুরো সম্পত্তি ট্রাস্টে দান করে দেন। পঞ্চাশের দুর্ভিক্ষের (১৯৪৩) সময় তিনি সারাদেশে প্রায় ৩০০টির মতো লঙ্গরখানা খুলে কয়েক মাস নিজ টাকায় বুভুক্ষু মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। এ জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘রায় বাহাদুর’ খেতাব প্রদান করে। দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে ১৯৭১ সালের ৭ মে নারায়ণগঞ্জের কুমুদিনী কমপ্লেক্স থেকে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা ধরে নিয়ে যায়। তারা আর ফিরে আসেননি।