ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, “কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘ঝিনাইদহে জামায়াতের কার্যালয়ে মিলল সরকারি অনুদানের সার ও বীজ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।
শনিবার(১ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাস্তবতা হলো-ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের মধ্যে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণের জন্য স্থানীয়ভাবে বিএনপি ও জামায়াতের কাছ থেকে তালিকা নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীকে ৩০ জন কৃষকের মধ্যে বিতরণের জন্য সরিষা বীজ ২২ কেজি, মসুর বীজ ৩৫ কেজি এবং ৮ বস্তা পটাশ ও ফসফেট সার দেওয়া হয়। জামায়াতের পক্ষ থেকে বেশিরভাগ সার ও বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় অবশিষ্ট কিছু সার ও বীজ (সরিষা ৭ কেজি, মসুর ২০ কেজি ও সার ৪ বস্তা) অফিসে রাখা ছিল, যা শনিবার সকালে বিতরণের কথা ছিল।
তিনি বলেন, মধ্যরাতে বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন তার অনুসারীদের নিয়ে সেখানে রাখা সার-বীজ উদ্ধার করার নাটক সাজিয়েছে, যাতে জামায়াতকে ফাঁসানো যায় এবং তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকর্মীর সঙ্গে সরকারি প্রণোদনার অনিয়ম বা অপব্যবহারের কোনো সম্পর্ক নেই।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াতে ইসলামী সর্বদা আইন, শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল। কৃষকের অধিকার রক্ষা ও কৃষি উন্নয়নে জামায়াত দীর্ঘদিন ধরে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে আসছে। তবু যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে, প্রশাসন তা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করুক- আমরা এ দাবি জানাচ্ছি।
তিনি গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যাচাই-বাছাই না করে বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার করলে জনগণের আস্থা নষ্ট হয় এবং সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের জবাব শান্তিপূর্ণ ও আইনসম্মত উপায়ে দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। ভবিষ্যতে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার না চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।’