ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে অসংখ্য ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় পুলিশ পিছু হটে যায়।
সংঘর্ষকারীরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল শরকি, কালি, কাতরা, টেটা ও সড়কের ইট ভেঙে মাথায় হেলমেট পরে উভয় গ্রুপ সড়কের দুই পাশে তিন ঘণ্টাব্যাপী মুখোমুখি সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে ইট ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ৫০ জনের বেশি গ্রামবাসী আহত হয়। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বার লোকজন গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) জমিজমা বিরোধ নিয়ে শালিস বৈঠকে বসে। কিন্ত সমাধান না হওয়ায় রোববার বিকেলে ফের বৈঠক বসলেও কোনো সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না হওয়ার দু’দল গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
স্থানীয়দের দাবি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর না থাকায় সংঘর্ষকারীরা গ্রামবাসীর ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর করে, একই সাথে বহনযোগ্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানসিভ যুবায়ের জানান, এ পর্যন্ত ২০ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানাস্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন জানান, বেপরোয়া গ্রামবাসীকে শান্ত করতে না পারায়, জেলা পুলিশের সহায়তা নেওয়া হয়।