Monday 03 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামালের আয়কর নথি জব্দ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৩ | আপডেট: ৩ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:৩৬

সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল – (ফাইল ছবি : সংগৃহীত)

ঢাকা: ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল, তার স্ত্রী কাশমিরি কামাল এবং মেয়ে কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক চারটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের সহকারি পরিচালক তানজিল আহমেদ এ তথ্য জানান।

প্রথম আবেদনে বলা হয়, আসামি আ হ ম মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন, ভোগদখল এবং নামীয় ৩২টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহভাজন অর্থ লেনদেন করে তা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের অভিযোগে তদন্ত চলছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে স্ত্রী কাশমিরি কামালের আয়কর নথি জব্দ চেয়ে আবেদনে বলা হয়েছে, স্বামী মোস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী থাকাকালে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত ৪৪ কোটি ১১ লাখ টাকা বৈধ করার লক্ষ্যে নিজ নামে অর্জন এবং ভোগ দখলে রেখে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন কাশমিরি। এ ছাড়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে সেই প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামের ২০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ২৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।

আরেকটি আবেদন বলা হয়েছে, মোস্তফা কামাল মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত ৩১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বৈধ করার লক্ষ্যে মেয়ে কাশফি কামালের নামে অর্জন এবং নিজ ভোগ দখলে রেখে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন। এছাড়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে সেই প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ৩৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেনের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।

আর কন্যা নাফিসা কামালের আবেদন বলা হয়েছে, বাবা মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত ৬২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বৈধ করার লক্ষ্যে নাফিসার নামে অর্জন এবং নিজ ভোগ দখলে রেখে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন। এ ছাড়া তিনিও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে সেই প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ১৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা জমা ও উত্তোলনের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ও তদন্তাধীন রয়েছে।

আবেদনগুলোতে আরও বলা হয়, মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আয়কর নথির স্থায়ী অংশ, বিবিধ অংশ ও এ্যাসেসমেন্ট প্রতিবেদন (যদি থাকে) ও নোটসিটসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি এবং অফিস আদেশের অংশ সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।