ঢাকা: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া বলেছেন, বাংলাদেশের দক্ষ শ্রমিকদের বেশি করে জাপানে পাঠাতে অংশীদারদের একযোগে কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশি মানবসম্পদকে জাপানের চাহিদার সঙ্গে মেলানোর জন্য সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) টোকিওর একটি কনফারেন্স সেন্টারে ‘জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদের সম্ভাবনাময় উৎস হিসেবে বাংলাদেশ’ শিরোনামে সেমিনার ও ব্যবসায়ীদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানটি জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিলড ওয়ার্কার কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (জিটকো) সহযোগিতায় পরিচালিত হয়।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, সেমিনারে প্রায় ৩৫০টি ম্যান পাওয়ার পাঠানো ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়, যার মধ্যে ২৫০টি জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশি দক্ষ শ্রমিকদের জাপানে প্রেরণ সহজতর করার জন্য রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি সকল অংশীদারকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া জাপান ও বাংলাদেশের মানবসম্পদ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, ‘২০৪০ সালের মধ্যে জাপান প্রায় এক কোটি ১০ লাখ বিদেশি শ্রমিকের প্রয়োজন হবে, যেখানে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম বয়সী মানুষের অতি-সরবরাহ রয়েছে। এটি সরবরাহ এবং চাহিদার মধ্যে একটি ভালো সমন্বয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) বিশেষভাবে জাপানের শ্রম বাজারের জন্য প্রস্তুত করাচ্ছে। প্রয়োজনে কেন্দ্রগুলোর সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্থাপিত জাপান সেল জাপানি শ্রম বাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগের কাজে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
ড. ভূঁইয়া সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ‘দক্ষ মানবসম্পদ প্রেরণে উভয় দেশ লাভবান হবে।’ জিটকো’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি জাপানের শ্রমবাজার ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন। পরে বাংলাদেশের ম্যান পাওয়ার পাঠানো প্রতিষ্ঠান ও জাপানি নিয়োগকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে তিনটি চুক্তি সই হয়।
সেমিনারে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া ৭ নভেম্বর জাপানের নাগোয়ায় আরও একটি মানবসম্পদ সেমিনারে অংশ নেবেন। যেখানে বাংলাদেশি ও জাপানি কোম্পানির মধ্যে অতিরিক্ত চুক্তি সই হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।