সুনামগঞ্জ: সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত ও ময়না তদন্ত সম্পন্ন করতে কবর থেকে উত্তোলন করে করা হচ্ছে শহিদ সোহাগ মিয়ার মরদেহ। বুধবার (৫ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মূশফিকীন নূর’র তত্ত্বাবধানে ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর মো. রুবেল রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স ভীমখালী ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামে শহিদ সোহাগ মিয়ার পারিবারিক কবরস্থান থেকে দাফনকৃত মরদেহ উত্তোলন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রহিছ উদ্দিন, ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তালুকদার, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফখরুল আলম চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা অজিত কুমার রায়, জেলা প্রশাসনের অফিস সহকারী মো. ফারুক আহমদ, ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া, শহীদ সোহাগের পিতা আবুল কালাম, ভাই শুভ মিয়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় শহিদ সোহাগ মিয়ার পিতা আবুল কালাম বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে তদন্তের সুবিধার্থে আমার ছেলে সোহাগের লাশ ময়না তদন্ত ও সুরতহালের জন্য উত্তোলন করা হচ্ছে। আমি চাই আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি হোক। জেলা প্রশাসক মহোদয় স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ায় আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।‘
জেলা প্রশাসক ইলিয়াস মিয়া বললেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় সোহাগকে ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে। সোহাগের পিতাকে সান্তনা দিতে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি।‘ ময়না তদন্ত শেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের খবরে গত বছরের পাঁচ আগস্ট প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বের হয় বিজয় মিছিল। সেই মিছিলে শরীক হন ছাত্র-জনতা। রাজধানী ঢাকার রাজপথে বিজয় মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. সোহাগ মিয়া ও শুভ মিয়া নামের দুই সহোদর। সেই মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। সেই গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সোহাগ। ছয় আগস্ট গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন হয়।