ঢাকা: নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে—এর আগে বা পরে নয়, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘১৭ অক্টোবর সংস্কার বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল সই করেছে। ঐকমত্যে যেসব বিষয় নির্ধারিত হয়েছে, সেগুলো নিয়েই আমাদের অগ্রসর হতে হবে। নতুন করে মতানৈক্যের বিষয় তুলে আলোচনাকে জটিল করার প্রয়োজন নেই।’
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে যশোরের ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে বিএনপির প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘৮৩ কোটি টাকা খরচ করে ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হলো, কিন্তু ফলাফল শুধু মিটিং আর খাওয়া-দাওয়া। আমরা সব সময় গঠনমূলক মতামত দিয়েছি। এখন কেন নতুন প্রস্তাব আনা হচ্ছে? আমাদের কি খেলনা মনে করেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক ত্যাগ, রক্ত ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজ নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। এখন দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত জনগণ মেনে নেবে না।’
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল অযথা নতুন ইস্যু তৈরি করে নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়। দেশে এখন পূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে এসেছে। জনগণ ফ্যাসিবাদে ফেরার সুযোগ দেবে না।’
দলীয় ঐক্যের কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি কোনো ভেসে আসা দল নয়। এটি স্বাধীনতার ঘোষকের দল, গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন দল। কোনো ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।’
প্রয়াত তরিকুল ইসলামকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘তরিকুল ইসলাম ছিলেন একজন সৎ, দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী রাজনীতিক। তিনি দেখে যেতে পারেননি শেখ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ। তিনি আমাদের হৃদয়ে চিরজাগরূক।’
স্মরণসভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অমলেন্দু দাস অপু, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, সাবিরা সুলতানা মুন্নী, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও তার ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।