ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ জিয়া উদ্যান এলাকায় মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মাত্র চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনেন। তিনি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন—যেখানে আগে মাত্র চারটি পত্রিকা ছিল, তিনি সেটি উন্মুক্ত করেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় গঠন করেন জুডিশিয়াল কাউন্সিল।”
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “জিয়া মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন, যা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ভিত্তি স্থাপন করে। তিনিই প্রথম পোশাক শিল্প ও প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স নির্ভর অর্থনীতির ভিত্তি তৈরি করেন। আজকের বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল রূপকার তিনি।”
ফখরুল আরও বলেন, “৭ই নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—গণতন্ত্র রক্ষা, ভোটাধিকার ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের কথা। এই দিবস গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্য এক অনুপ্রেরণার প্রতীক।”
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন; চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান; সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী; যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও আব্দুস সালাম আজাদ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।