ঢাকা: সবজির দাম কমলেও বাজারে পেঁয়াজের দামে আগুন। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পেঁয়াজ এখন ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গেল সপ্তাহেও ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিলো। আর বাজারে মাত্র ২০ টাকায় ফুলকপি। পাতাকপির দামও প্রায় একই। আর শিমের কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা। সামগ্রিকভাবে বাজারে সবজির দাম কমই রয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, বিজয় সরণীর কলমিলতা, মহাখালীর বউবাজার ও শেওড়াপাড়ার ইব্রাহিমপুর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বেশিরভাগ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে।
এদিকে, বাজারে নতুন আম ধান উঠতে যাচ্ছে। এতে চালের দামে কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। আগের চেয়ে চালের দাম এখন কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা কম।
বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, মাত্র ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ফুলকপি। পাতাকপির দামও প্রায় একই। আর শিমের কেজি ৫০ টাকা। সবমিলিয়ে বাজারে এখন অধিকাংশ সবজিই হাতের নাগালে। দাম কম থাকায় ক্রেতারাও এখন আগের চেয়ে বেশি সবজি কিনছেন।
বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, বাজারে বেশ কিছুদিন ধরেই শীতকালের সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে। শুরুতে ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও গত সপ্তাহে বেশিরভাগ বাজারে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। শিম বিক্রি হয়েছে। তবে গত তিন থেকে চার দিন ধরে বিভিন্ন দোকান ও বাজারে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে শিম বিক্রি হতে দেখা গেছে৷
বাজারে এখন প্রায়ই দেখা মিলছে মাঝারি বা ছোট আকারের ফুলকুপি। ছোট সাইজের প্রতিটি ফুলকপি কিছুদিন আগেও ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকায়। ছোট সাইজের পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি মূলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়।
ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজারে বাজার করতে এসেছিলেন ইব্রাহিম। সারাবাংলাকে হলেন, সবজির বাজার প্রায় গত ৬ মাস ধরে চড়া। ১০০ টাকার নিচে সবজিই পাওয়া যাচ্ছিলা। এখন সেই ভাব নেই। এখন শীতকালীন সবজি ৫০ টাকা কেজিতে কেনা যাচ্ছে। বাজারে সব ধরণের সবজির দামই কম।
বাজারে দেখা গেছে, কাঁচামরিচের ১২০ থেকে থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে৷ ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, কচুর লতি ৫০ টাকা, বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, ধন্দুল ৭০ টাকা ও পটল ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জালি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকা ও শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, করলা ৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা ও কচুর মুখি প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইব্রাহিমপুরের সবজি বিক্রেতা হিল্লোল মিয়া বলেন, শীতের সবজি আসছে। এখন প্রচুর শীতকালীন আগাম সবজি আসছে। তাই সবজির দাম কিছুটা কমেছে। কমবেশি সব সবজির দামই কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।
এদিকে, বাজারে এখন নাজিরশাইল চাল ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও তা ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। মোটা চালের মধ্যে পায়জাম ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়, যা কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। তবে মিনিকেট চাল আগের দামেই ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, বাজারের পেঁয়াজের দাম আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগিও ২৬০ টাকা থেকে বেড়ে ২৮০ টাকায় উঠেছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে গরু ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি ও খাসি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।