Saturday 08 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় খুন হন সাম্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:০৩ | আপডেট: ৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:২৭

এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য। ফাইল ছবি

ঢাকা: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এমনটাই উঠে এসেছে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযোগপত্রে।

আদালতে দাখিলকৃত ওই অভিযোগপত্রে এ মামলায় সাত জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ এই মামলায় সাতজন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে অভিযোগের সত্যতা না হওয়ায় চারজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্তরা হলেন- মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ ও মো. রবিন। অন্যদিকে, অব্যাহতির সুপারিশ করা আসামিরা হলেন- সুজন সরকার, তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক ও পলাশ সরদার।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আখতার মোর্শেদ গণমাধ্যমকে বলেন, আসামি কবুতর রাব্বি ইলেকট্রিক ট্রেজারগান নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করছিল। ট্রেজারগানকে কেন্দ্র করেই মাদক কারবারিদের সঙ্গে সাম্যের হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।

মামলার বাদী সাম্যের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। জড়িতরা যেন আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হতে না পারেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি মেহেদী হাসান, রিপন, কবুতর রাব্বি, পাপেল, হৃদয়, রবিন, সোহাগরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। আসামি মেহেদী হাসান তাঁদের দলনেতা। আসামিরা মেহেদীর কাছ থেকে গাঁজা নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় খুচরা বিক্রি করে মেহেদীর কাছে টাকা জমা দিতেন। তবে রিপন ও রাব্বি টাকা দিতে পারেননি। কারণ, তাদের টাকা কিছু মাস্তান জোরপূর্বক নিয়ে যায় বলে তারা মেহেদীকে জানান। আসামি মেহেদী হাসান তখন তার লোকজনদের এ রকম পরিস্থিতি হলে সবাইকে একসঙ্গে প্রতিহত করার জন্য বলেন।

গত ১৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে রাত ১১টার দিকে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ১৪ মে সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।