Saturday 08 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আওয়ামী লীগ ইসলামকে নির্মুল করতে চেয়েছিল’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:৪০ | আপডেট: ৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৪৭

বক্তব্য দিচ্ছেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী দেলাওয়ার হোসেন। ছবি: সারাবাংলা

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও-১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, ‘নামমাত্র মুসলমান হয়েছিল কিন্তু আলেমদের পক্ষে, ইসলামের পক্ষে কাজ করেনি, বরং বিপরীত কাজ করেছে। বিগত পনের-ষোল বছরে বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে নির্মুল করে দেওয়ার জন্য সব রকমের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। এদেশের আলেম-ওলামাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছিল।’

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও -১ আসনের আয়োজনে সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা ঈদগাহ মাঠে উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০২৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে আলো বন্ধ করে গভীর অন্ধকারে নির্বিচারে গুলি করে হাজার হাজার আলেম-ওলামাদের শহীদ করেছিল। আমরা দীর্ঘ ১৬ বছরে দেখেছি, আলেমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি, মসজিদগুলোতে স্বাধীনভাবে খুতবা দিতে পারেনি। তাদেরকে নিকৃষ্ট কথা বলার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। কোরআন রাখার অপরাধে, হাসিস রাখার অপরাধে গ্রেফতার করে জঙ্গী নাটক সাজিয়ে বছরের পর বছর জেলখানায় রাখা হয়েছিল।’

বিজ্ঞাপন

জামায়াত নেতা বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে দেশ থেকে ঘুষ, দূর্নীতি বন্ধ হবে, চাঁদাবাজী বন্ধ হবে শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী দুইটা মন্ত্রণালয় পরিচালানা করেছিলেন এবং আলী আহসান মুজাহিদ একটা মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছিলেন। আজও পর্যন্ত সেই মন্ত্রণালয়গুলো সবাই স্মরণ করে। অনেক অনুসন্ধান করেও এক টাকার ঘুষ-দূর্নীতি বের করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে যদি আলেমদের হাতে যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিতে পারি, সৎ-দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের হাতে দেশ তুলে দিতে পারি, তাহলে এদেশটি সোনার বাংলাদেশে পরিনত হবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিয় জেলা ঠাকুরগাঁও, এখানে যারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ আছেন তারা বলেন, আমরা ইসলামী অনুশাসন চাই না। যারা ইসলামী অনুশাসন চায় না, তারা ইসলাম মানে কি না এটা সন্দেহ হয়। একজন মুসলিম হয়ে কিভাবে বলতে পারে আমি ইসলামী অনুশাসন চাই না। আমি শরিয়া আইন চাই না। যারা শরিয়া আইন চায় না, তারা ইসলামবিদ্ধেষী, ইসলামের শত্রু। আগামী দিনে আর জুলুম নির্যাতন সইতে চাই না, ঘুরে দাঁড়াতে চাই। আগামী দিনে যদি পরিবর্তন আনতে হয়, তাহলে জামায়াতে ইসলামীকে দিয়েই সম্ভব।’

অধ্যক্ষ কফিল উদ্দীন আহম্মেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের সভাপতি শামীম সাঈদী, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা আব্দুল হাকিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধান, জেলা সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলমগীরসহ অনেকে।