ঢাকা: রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে পঞ্চম বাংলাদেশ ফিনটেক সামিট।
শনিবার (৮ নভেম্বর) মাস্টারকার্ডের সৌজন্যে এবং প্রাইম ব্যাংক পি এল সির সঞ্চালনায় এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ব্যাংকিং, আর্থিক সেবা, ফিনটেক, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টার্টআপ উদ্যোক্তা এবং গবেষক, নীতি-নির্ধারক ও একাডেমিক বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ ফিনটেক ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সামিটের এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ফিউচার অব ফিনটেক: ডিজিটাল, ডিসেন্ট্রালাইজড, ডেমোক্রেটাইজ’। দিনব্যাপী আলোচনায় উঠে আসে—ডিজিটাল আর্থিক খাতকে আরও আধুনিক, নিরাপদ ও উদ্ভাবনমুখী করতে নীতি, প্রযুক্তি ও সহযোগিতার প্রাসঙ্গিকতাসহ দেশের ফিনটেক খাতকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার রুপরেখা প্রণয়ন সম্পর্কিত আলোচনা।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘একটি শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ফিনটেক খাত গড়ে তুলতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। নীতিগত প্রস্তুতি এবং আর্থিক খাতে আস্থা সুদৃঢ় করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি—সমন্বিত প্রচেষ্টা ও সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আরও এগোতে পারবে এবং বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতিতে নিজের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে।’
আয়োজনটির স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের প্রতিষ্ঠাতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ফিনটেক খাতে আমাদের অগ্রগতি দ্রুত বাড়ছে। এখন দরকার সমন্বয়, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং যৌথভাবে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা। এসব মিলেই খাতটি ভবিষ্যতের বড় সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারবে।’
তিনটি কি নোট সেশন, তিনটি প্যানেল ডিসকাশন, দুটি ইনসাইট সেশন এবং একটি কেইস স্টাডির সমন্বয়ে এই বছরের সামিট অনুষ্ঠিত হয়। এসব আলোচনায় প্রাধান্য পায় ফিনটেক নীতি, প্রযুক্তির নতুন সম্ভাবনা, বাজারচাহিদা, নিরাপত্তা, প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মতো বিষয়গুলো।
এ ছাড়াও সামিটের অন্যান্য সেশনে ডিজিটাল ব্যাংকিং মডেল, এআই নির্ভর আর্থিক প্রযুক্তি, ছোট ও মাঝারি ব্যবসার জন্য সংযুক্ত ফিনটেক সমাধান, অ্যালগরিদম ভিত্তিক ফাইন্যান্স এবং নীতি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়।