ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দেশজুড়ে দেখা গেছে, তা কেবল রাজনৈতিক পরিবর্তনের নয়—এটি একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক ধারার ধারাবাহিকতা, যেখানে সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমঅধিকারের দাবি প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) কনভেনশন হলে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোট আয়োজিত হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আজ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সেটিও সেই ঐতিহাসিক ধারা ও চেতনারই সম্প্রসারণ। এই আন্দোলন কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য এক অবিরাম সংগ্রাম।’
ড. মঈন খান উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী চেতনা কোনো নতুন ধারণা নয়। এই আন্দোলনের বীজ রোপিত হয়েছিল প্রায় ৬৫ বছর আগে—১৮৬০ সালে—যখন তৎকালীন সমাজে অবহেলিত, নিপীড়িত ও দলিত জনগোষ্ঠী তাদের অধিকার আদায়ে প্রথমবারের মতো সংগঠিত হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘তৎকালীন হিন্দু সমাজের অবহেলিত মানুষ, কৃষক ও দলিত শ্রেণিই বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রথম কণ্ঠ তুলেছিল। আজকের আন্দোলন সেই চেতনারই পুনর্জাগরণ।’
ড.মইন খান বলেন, ‘‘বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা আজ আবারও সেই অসম সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, যেখানে ‘সমতা, ন্যায় ও মানবাধিকারের লড়াই কখনো শেষ হয় না।”