ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সমাজে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানবিক মূল্যবোধ ও সমতার চেতনা জাগ্রত করতে হবে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) কনভেনশন হলে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোট আয়োজিত হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি উত্তম ব্যবহারের আহ্বান জানানো উচিত, কারণ সৃষ্টিকর্তার চোখে কোনো মানুষই ছোট বা বড় নয়।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘ইসলাম ও সনাতন ধর্ম উভয়ই মানবজাতির সমতা এবং ন্যায়বিচারের শিক্ষা দেয়।’ মানুষের মর্যাদা তার জন্ম দিয়ে নয়, বরং তার কর্ম ও চরিত্রের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘অতীতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশগুলোতে মানুষের অংশগ্রহণ ছিল প্রাণবন্ত ও আশাব্যঞ্জক।’ তবে সাম্প্রতিক সময়ে উপস্থিতির কমে যাওয়া নিয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং জনগণকে নতুন করে ‘মহাযুক্তির পরিবর্তনের’ আহ্বান জানান।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত যেন সাময়িক না হয়—এটি স্থায়ী হোক, এই আশা রাখি।’
তিনি সমাবেশে বলেন, ‘প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ ঠাকুর পরিবারের নেতৃত্বে উপস্থিত হয়েছিল, কিন্তু পরে তাদের আশা ও উত্তেজনা কমে যায়।’ তিনি আওয়ামী লীগের কিছু সদস্যকে ‘নকল ঠাকুর’ বলে অভিহিত করে বিএনপির প্রতি তাদের আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বক্তৃতার শেষে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।