ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘জুলাই শহিদ শাহরিয়ার খান আনাস আমাদের সামনে নতুন সংগ্রামের পথ দেখিয়ে গেছেন। সেই পথ অনুসরণ করে আমরা শুধু দেশকেই রক্ষা করব না— পরিবেশকে, এমনকি সমগ্র মানবজাতিকেও রক্ষা করতে হবে।’
রোববার (৯ নভেম্বর) গেন্ডারিয়া আদর্শ একাডেমীতে জুলাই শহিদ শাহারিয়ার খান আনাসের ফলক উন্মোচন ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আনাসের লেখা চিঠিকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, আনাসের চিঠি দূরদর্শিতার এক অনন্য নজির। কারণ সে যে কাজ করেছে, যে মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করেছে—তা যেন সবাই জানতে পারে, সেজন্যই তার প্রতিটি প্রচেষ্টা। তিনি আরও বলেন, নিজের জীবনের বিনিময়ে আনাস আমাদের গর্বিত করেছেন।
উপদেষ্টা বলেন, অনেকেই বলছেন বিদ্যালয়ে নাকি সংগীত শিক্ষক রাখা যাবে না, বিদ্যালয়ে গানও করা যাবে না। কিন্তু আজকের অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান এবং মা’কে নিয়ে যে গভীর আবেগময় পরিবেশনা আমরা দেখলাম—তা প্রমাণ করে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সংগীত চর্চা থাকা কতটা প্রয়োজন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আনাসের লেখা চিঠি মুখস্থ করে আবৃত্তি আকারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করতে পারেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্রাজিলে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ‘কপ-৩০’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মাছের ডিম পাড়ার জন্য ঋতু অনুযায়ী বৃষ্টি প্রয়োজন। আষাঢ়ে বৃষ্টি না হলে ইলিশ আশ্বিনে ডিম পাড়তে পারে না। তাই জলবায়ু ভারসাম্য রক্ষা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
আদর্শ একাডেমী গেন্ডারিয়ার সভাপতি ড. মুহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কামাল আকবর, রাহনুমা ট্রাস্টের সদস্য আরিফ সুলতান মাহমুদ এবং শহিদ আনাসের পিতা সাহরিয়া খান পলাশ। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদা রোকসেনা সুলতানা, একাডেমীর অভিভাবক প্রতিনিধি জুয়েল আহমেদ, একাডেমীর শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে উপদেষ্টা আদর্শ একাডেমীতে শহিদ শাহরিয়ার খান আনাস ফলক উন্মোচন করেন।